কক্সবাজার পান সুপারি বাজার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক জানান, “এই অঞ্চলের সুপারির খ্যাতি থাকার কারণে দেশ ও বিদেশে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এছাড়া কক্সবাজারের সুপারি ছড়িয়ে যায় সারাদেশে। প্রতিদিন কক্সবাজারের বিভিন্ন বাজার থেকে ট্রাকে ট্রাকে সুপারি যায় ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। এছাড়া দেশের বাইরে, যেমন ইংল্যান্ড, কানাডা, সৌদি আরব সহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে কক্সবাজারের সুপারি।”
উখিয়া সোনারপাড়া বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বাগান মালিক মোহাম্মদ শাহ্ জাহান জানান, “সুপারির উচ্চ ফলন হয়েছে কক্সবাজারে। শুধু উখিয়ার সোনারপাড়া সুপারী বাজারে সপ্তাহের দুই হাটে কোটি টাকার বেশী সুপারি বেচা-কেনা হচ্ছে।”
স্থানীয় বাজারে সুপারি কেনা-বেচা হয় পন হিসাবে। এক পনে ৮০ টি সুপারি এবং ১৮ পনে অর্থাৎ এক হাজার ২৮০ টি সুপারি এক কর্ন। এক কর্ন বড় সাইজের সুপারির পাইকারী মূল্যে চার হাজার ৫০০ টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকা।
ঢাকা থেকে সুপারি কিনতে আসা ব্যবসায়ী হাফিজুল ইসলাম জানান, “সারাদেশে কক্সবাজারের সুপারির কদর বেশি। এছাড়া কক্সবাজারের পাইকারি বাজারগুলোতে সুপারি খুবই সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়। এখান থেকে নিয়ে যাওয়া সুপারি ঢাকায় মজুদ করা হয়। এরপর, মজুদ সুপারি ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দেয়া হয় এবং বিদেশে রপ্তানি করা হয়।”
সুপারি বিক্রেতা নজরুল ইসলাম জানান, তিনি ৩০ বছর ধরে এই ব্যবসা করে সংসার চালাচ্ছেন। নজরুল ইসলাম জানান, “বহু বছর ধরেই কক্সবাজারের সুপারির সুখ্যাতি রয়েছে।”
জেলা কৃষি কর্মকর্তা কবির হোসেন জানান, দক্ষিণ চট্টগ্রামের কক্সবাজার জেলার উখিয়া টেকনাফ সুপারির জন্য বিখ্যাত। এছাড়া এই বছর সুপারির ফলন ভালো হয়েছে। তিনি জানান, “উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য চাষীদের বীজ, কীটনাশক এবং পরিচর্যার জন্য পরামর্শ-সেবা দেওয়া হয়। সুপারির চাষ থেকে শুরু করে বিপণন পর্যন্ত কৃষি অফিস তদারকি করে।”