অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রংপুরে সাত বছর পর কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা মামলার রায়, ৫ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড


বাংলাদেশের রংপুর জেলার গঙ্গাচড়ায় কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে, পাঁচ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেক দণ্ডিত ব্যক্তিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। প্রায় সাত বছর পর, বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এর বিচারক মো. রোকনুজ্জামান এ রায় দেন।

দণ্ডিত ব্যক্তিরা হলেন; গঙ্গাচড়া উপজেলার নরসিংহ মর্ণেয়া গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে আবুজার রহমান (২৮), মো. হান্নানের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৭), মতিয়ার রহমান মুন্সির ছেলে নাজির হোসেন (৩২), আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল করিম (২৯) এবং আমিনুর রহমান (২৯)। এদের মধ্যে আলমগীর হোসেন পলাতক।

মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, প্রধান অভিযুক্ত আবুজার রহমানের সঙ্গে শাহীনার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর, বিয়ের জন্য চাপ দিলে অস্বীকৃতি জানায় আবুজার। ঘটনার দিন, ২০১৫ সালের ১৪ মে আইয়ুব আলী তার স্ত্রীকে নিয়ে লালমনিরহাটে একটি পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠানে যান। এসময় বাড়িতে শাহীনা ও তার ১২ বছর বয়সী ভাগ্নি শান্তনা বাড়িতে ছিলেন। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে অভিযুক্ত আবুজার রহমান তার অপর সহযোগিদের নিয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে শাহীনার বাড়িতে গিয়ে তাকে ডেকে এনে পাশ্ববর্তী একটি ধইঞ্চা খেতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যা করেন।

রাতে আইয়ুব আলী বাড়িতে ফিরে মেয়েকে না পেয়ে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজখবর নেন। পরদিন সকালে প্রতিবেশিদের মাধ্যমে খবর পেয়ে ধইঞ্চা খেত থেকে শাহীনার মরদেহ উদ্ধার করেন আইয়ুব আলী। পরে, থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন আইয়ুব আলী।

প্রায় সাত বছর মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন জানান, সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত পাঁচ জনকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।

XS
SM
MD
LG