অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিশ্বকাপে দ্বিধান্বিত মনে জাতীয় সংগীত গেয়েছে ইরানের ফুটবল দল


কাতারের আল রাইয়ান আহমাদ বিন আলী স্টেডিয়ামে, ওয়েলস ও ইরানের মধ্যকার বিশ্বকাপ গ্রুপ বি ফুটবল ম্যাচের আগে, ইরানের খেলোয়াড়রা জাতীয় সংগীত গাওয়ার জন্য সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছেন, ২৫ নভেম্বর, ২০২২।
কাতারের আল রাইয়ান আহমাদ বিন আলী স্টেডিয়ামে, ওয়েলস ও ইরানের মধ্যকার বিশ্বকাপ গ্রুপ বি ফুটবল ম্যাচের আগে, ইরানের খেলোয়াড়রা জাতীয় সংগীত গাওয়ার জন্য সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছেন, ২৫ নভেম্বর, ২০২২।

কাতারের আহমাদ বিন আলি স্টেডিয়ামে শুক্রবার, বিশ্বকাপে খেলার দ্বিতীয় দিনে, ম্যাচ শুরুর আগে ইরানী দল অনেকটা অনিচ্ছুকভাবে তাদের জাতীয় সংগীত গেয়েছে। এই ম্যাচে ওয়েলসের বিরুদ্ধে ইরান জয়লাভ করে।

শুক্রবার, তিরস্কার ধ্বণির মাঝে খেলোয়াড়রা জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় বেসুরোভাবে গানের কথাগুলি আওড়ে যাচ্ছিলেন কেবল।

সোমবার, ইরানি ক্রীড়াবিদদের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার অপরাগতাকে সারা ইরানে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন হিসেবে দেখা হচ্ছে। ২২ বছর বয়সি তরুনী মাহসা আমিনি সঠিকভাবে হিজাব না পরার কারণে আটক হয়ে, পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়ার পর এই বিক্ষোভ শুরু হয়।

ইরানের বর্তমান ও অভিজ্ঞ কমপক্ষে চারজন ফুটবল খেলোয়াড়কে এই জনবিক্ষোভে অংশ নেওয়া বা সমর্থন করার অভিযোগে আটক করা হয়েছে। আটক খেলোয়াড়রা হলেন; ভেরিয়া ঘাফুরি, হোসেইন মাহিনি, পারভিজ ব্রোমান্দ এবং হামিদরেজা আলি আসগারি।

ওয়েলসের বিপক্ষে শুক্রবারের খেলায় ইরান সমর্থকদের মধ্যে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের নাগরিকরাও ছিলেন বলে জানা গেছে। কিছু সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী জানিয়েছেন যে, কাতারে বসবাসকারী বিদেশী কর্মীদের মধ্যে, ইরানী নয় এমন অনেক দর্শকও ঐ ইসলামী প্রজাতন্ত্রের পতাকা হাতে মাঠে উপস্থিত ছিলেন।

"স্বাধীনতা, জীবন, নারী” এবং " মাহসা আমিনি লেখা শ্লোগানযুক্ত পোশাক পরা দর্শকদের গ্যালারিতে প্রবেশ করতে সামগ্রিকভাবে বাধা দেওয়া হয়।

"স্বাধীনতা, জীবন, নারী" এই শ্লোগানটি যেন ইরানের বিক্ষোভের পক্ষে সমবেত হওয়ার আহ্বান।

XS
SM
MD
LG