অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সুদের হারের সীমা তুলে নেওয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতারা


সুদের হারের সীমা তুলে নেওয়ার বিপক্ষে দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতারা। তারা বলেছেন যে সুদের হারের সীমা প্রত্যাহার করে নিলে বিনিয়োগের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ব্যবসায়ী নেতারা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে একমত পোষণ করেন। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেছিলেন যে সীমা তুলে নেওয়ার জন্য এটি সঠিক সময় নয়। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এক সম্মেলনে বক্তৃতাকালে বলেন যে সুদের সীমা প্রত্যাহারের জন্য একটি ভালো সময়ের অপেক্ষায় রয়েছে তারা।

ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)-এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন সুদের সীমা প্রত্যাহারের বিরোধিতা করেন।শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) তিনি বলেন, “হঠাৎ করে সুদের হার বাড়লে বিনিয়োগকারীরা বিপাকে পড়বেন। উৎপাদন খাতের বিনিয়োগকারীদের একটি প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাজারে তাদের পণ্য বিক্রি করতে হবে।” তিনি বলেন, “অন্য অনেক প্রতিযোগী দেশের তুলনায় বাংলাদেশে সুদের হার এখনও বেশি, যা সুদের হার বাড়ানোর আগে বিবেচনায় নিতে হবে।”

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, “গ্যাস সংকটের কারণে উদ্যোক্তারা লোকসানে পড়ছেন। বাংলাদেশকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে বিনিয়োগ আনতে চায় কি-না। উচ্চ সুদের হার অনেক ক্ষেত্রেই অনিশ্চয়তা তৈরি করবে, যা ইতোমধ্যে মহামারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে হয়েছে।”

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী বার্ষিক উন্নয়ন সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে সুদের সীমা প্রসঙ্গ আসে। অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতোমধ্যেই ভোক্তা ঋণের সুদের হার শিথিল করেছে। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার সম্পর্কে রউফ বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার শক্তিকে তা নির্ধারণ করতে দেবে।”

XS
SM
MD
LG