পরিবহন ধর্মঘট-সহ নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে শনিবার( ৩ ডিসেম্বর) রাজশাহীতে নবম বিভাগীয় সমাবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। দলটির রাজশাহী মহানগর শাখা নগরীর মাদরাসা মাঠে এই সমাবেশের আয়োজন করেছে। এখন পর্যন্ত আটটি জনসভা করেছে বিএনপি। জনসভা সফল করতে বাধা-বিপত্তি মোকাবেলায় অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে দলটি। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জনসভা সফল করতে, বাস ও অটোরিকশা ধর্মঘট উপেক্ষা করা হবে।
রাজশাহীতে শনিবার সকাল ১১টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সমাবেশের জন্য মাদরাসা মাঠে মঞ্চ তৈরি করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। সমাবেশে যোগ দিতে, শুক্রবার দুপুর থেকে রাজশাহী শহরে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেছেন। নাটোর, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সহ বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আসছেন রাজশাহী মহানগরে। এর আগে, বিভাগীয় সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীরা অবস্থান করতে পারলেও, প্রশাসনের বাধার কারণে রাজশাহীতে সমাবেশস্থলে শুক্রবার রাত পর্যন্ত কেউ ঢুকতে পারেন নি। তারা অবস্থান নিয়েছেন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ এবং আশপাশ এলাকায়।
এদিকে, গণপরিবহন ধর্মঘটের পর, শুক্রবার থেকে থ্রি-হুইলার ধর্মঘট শুরু হয়েছে। সকল সড়কে অবাধ চলাচল ও হয়রানিমুক্ত রেজিস্টেশনের দাবিতে রাজশাহীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও থ্রিহুইলার ধর্মঘট শুরু হয়। এপরও বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে রাজশাহী ঢুকছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সকালে নওগাঁর মান্দা এলাকা থেকে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাজশাহী আসে। এছাড়া, বগুড়া থেকে প্রায় এক হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে এসেছেন নেতাকর্মীরা।
পথে তল্লাশির নামে পুলিশের বাধা ও মাঝপথ থেকে বহরটিকে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা। নৌকায় করেও অনেক কর্মী-সমর্থক সমাবেশস্থলে পৌঁছান। সমাবেশস্থলে ঢুকতে পুলিশের বাধা থাকায়, পাশের ঈদগাহ মাঠে বিএনপি নেতাকর্মীরা তাঁবু টাঙ্গিয়ে অবস্থান নিয়েছেন।
শুক্রবার গণসমাবেশস্থলে মঞ্চ পরিদর্শন করতে যান বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার। তিনি অভিযোগ করেন যে সমাবেশে আসার পথে পুলিশ কর্মী-সমর্থকদের বাধা দিচ্ছে। তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে ঈদগাহ মাঠ ভরে গেছে। অসংখ্য নেতাকর্মী শীতের মধ্যে খোলা আকাশের নিচেই অবস্থান করছেন।”
