অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

দাদাব শরণার্থী শিবিরে সোমালিদের অবস্থার অবনতি: ইউএনএইচসিআর


শরণার্থীরা সোমালিয়ার উপকণ্ঠে একটি বাস্তুচ্যুতি শিবিরে পৌঁছেছে৷ ফাইল ছবি , ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২।
শরণার্থীরা সোমালিয়ার উপকণ্ঠে একটি বাস্তুচ্যুতি শিবিরে পৌঁছেছে৷ ফাইল ছবি , ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা(ইউএনএইচসিআর) সতর্ক করেছে যে কেনিয়ার দাদাব শরণার্থী শিবিরে হাজার হাজার সোমালিদের জন্য মানবিক অবস্থার অবনতি ঘটছে কারণ নিরবচ্ছিন্ন খরা আফ্রিকা শৃঙ্গকে গ্রাস করছে এবং তহবিল শেষ হয়ে যাচ্ছে।

গত দুই বছরে সংঘাত ও খরা থেকে পালিয়ে আসা ৮০,০০০ এরও বেশি সোমালি কেনিয়ার দাদাব শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন, সেপ্টেম্বর থেকে এসেছেন ২৪,০০০ এরও বেশি।

এটি ইতোমধ্যেই শিবিরে বসবাসকারী স্থানীয় সম্প্রদায় এবং উদ্বাস্তুদের উপর একটি বিশাল বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে, যেখানে আনুমানিক ২,৩০,০০০ শরণার্থী রয়েছেন।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা, ইউএনএইচসিআর, বলেছে, বিশেষ করে যারা সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে এসেছে তাদের জরুরি সহায়তার প্রয়োজন। তারা বলছে নতুন আগতদের জন্য আশ্রয় ফুরিয়ে যাচ্ছে। যা কীনা অনেককে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে বাধ্য করছে, যেখানে বিশুদ্ধ পানি এবং পয়ঃনিষ্কাশন সীমিত বা নেই বলা চলে।

ইউএনএইচসিআর মুখপাত্র বরিস চেশিরকভ বলেছেন যে, অক্টোবরের শেষে কলেরার প্রাদুর্ভাবে ৩৫০ জনেরও বেশি সংক্রমিত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই শিশু। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সহযোগীদের প্রচেষ্টায় কলেরার বিস্তার কমছে। তবে আরও সংক্রমণের আশঙ্কা রয়ে গেছে।

চেশিরকভ বলেছেন, “ইউএনএইচসিআর দাদাবে নতুন আগতদের বিশুদ্ধ পানীয় জল এবং ক্যাম্পের উপকণ্ঠে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যবিধি সুবিধা প্রদান করছে। আমরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের জন্য সুনির্দিষ্ট সুরক্ষা পরিষেবাও প্রদান করছি যাতে তাদের চাহিদা পূরণ হয়। অপুষ্ট শিশুদের স্ক্রীনিং করা হচ্ছে এবং স্থিতিশীলতা কেন্দ্রে ভর্তি করা হচ্ছে।”

তিনি আরো বলেছেন যে ইউএনএইচসিআর কাছাকাছি হোস্ট সম্প্রদায়গুলিকেও সহায়তা করছে। তারা কিছু গর্ত বন্ধ করছে, জলের পাম্পের জন্য জেনারেটর সরবরাহ করছে এবং জলে ট্রাকিং করছে৷ তিনি বলেন উদ্বাস্তু এবং স্থানীয় জনসংখ্যার তাৎক্ষণিক প্রয়োজনের দিকে মনোযোগ দেওয়ার সময়, ইউএনএইচসিআর এবং কেনিয়ার সরকার এই জটিল সমস্যার জন্য দীর্ঘমেয়াদী সমাধান চাইছে।

কেনিয়া তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে দাদাব এবং কাকুমা শরণার্থী শিবির এবং শহুরে এলাকায় পাঁচ লক্ষেরও বেশি শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থীকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। এটি ইথিওপিয়ার পরে আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম সংখ্যা।

চেশিরকভ বলেন, সোমালিয়ায় স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন বা আশ্রয়ের জন্য তৃতীয় দেশে পুনর্বাসন বর্তমানে কার্যকর সমাধান নয়।

তিনি বলেন, “আমরা এখন যে বিষয়ে মনোযোগ দিচ্ছি তা হল কেনিয়ায় উদ্বাস্তুদের স্বনির্ভর হওয়ার উপায় খুঁজে বের করা। এবং এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষা, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং আর্থিক পরিষেবাগুলিকে নাগালের মধ্যে নিয়ে আসা মাধ্যমে লোকেরা যাতে ব্যবসা করতে পারে। যাতে তাদের দুর্দশার দীর্ঘমেয়াদী সমাধান পাওয়ার একটি সম্ভাবনা থাকে।”

XS
SM
MD
LG