অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র-আফ্রিকা লিডারস সামিটে যোগ দিচ্ছে ৫০ টি আফ্রিকান রাষ্ট্র


আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের চেয়ারপার্সন মুসা ফকি কেনিয়ার নাইরোবিতে কেনিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২। ফাইল ছবি।
আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের চেয়ারপার্সন মুসা ফকি কেনিয়ার নাইরোবিতে কেনিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২। ফাইল ছবি।

ওয়াশিংটনে সমবেত হচ্ছেন আফ্রিকার ৫০ জন প্রতিনিধি। বাইডেন প্রশাসন আশা করছে; স্বাস্থ্য, গণতন্ত্র, সুশাসন, বিনিয়োগ, উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য কিছু চ্যালেঞ্জের বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে, আফ্রিকার প্রতিষ্ঠান, নাগরিক এবং জাতিসমূহের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে এ সমাবেশকে ব্যবহার করা যাবে। বৃহস্পতিবার বাইডেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একথা জানান।

আগামী সপ্তাহের যুক্তরাষ্ট্র-আফ্রিকা লিডারস সামিটে অংশগ্রহণকারীরা ওয়াশিংটনে তিন দিন ব্যাপী বিশ্বের এক-পঞ্চমাংশ জনসংখ্যার চাহিদা ও আকাঙ্খা নিয়ে আলোচনা করবেন। এই জনসংখ্যা যে ভূখণ্ডজুড়ে বসবাস করে, যেটি চীন, ভারত, উত্তর আমেরিকা মহাদেশ এবং ইউরোপের বেশিরভাগ অঞ্চলের সমন্বয়ে গঠিত এলাকা থেকে বড়। আর, সেখানে বিশ্বের মোট ভাষা সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ ভাষায় কথা বলা হয়।

প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেছেন, মঙ্গলবারে শুরু হতে যাওয়া এই বছরের শীর্ষ সম্মেলন; যুক্তরাষ্ট্র-আফ্রিকা অংশীদারিত্বকে দীর্ঘমেয়াদে গভীর ও প্রসারিত করা এবং আমাদের অভিন্ন অগ্রাধিকারগুলোকে অগ্রসর করা, এই যুগের জন্য চিহ্নিত করা চ্যালেঞ্জগুলোকে সহযোগিতামূলকভাবে মোকাবেলা করতে আফ্রিকার কণ্ঠকে প্রশস্ত করাকে প্রাধান্য দেবে। হোয়াইট হাউজের ব্রিফিং-এর নিয়মানুযায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদেরকে এ কথা জানান।

ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, ৪৯টি দেশ এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন-এর ৫০ জন প্রতিনিধি “তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন”; তবে সরকারের কোন স্তর থেকে অংশগ্রহণ করা হবে তা তারা জানাননি।

পাঁচটি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। দেশগুলো হচ্ছে; বুরকিনা ফাসো, মালি, গিনি এবং সুদান। অসাংবিধানিক পথে সরকার পরিবর্তনের কারণে আফ্রিকান ইউনিয়ন তাদের সদস্যপদ স্থগিত করায় এই দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আর প্যারাইয়াহ স্টেট অফ ইরিত্রিয়ার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।ফলে এই দেশও আমন্ত্রণ পায়নি।


XS
SM
MD
LG