অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মানবাধিকার লঙ্ঘন করলে আইনের আওতায় আনা হবে: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক


আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
বাংলাদেশের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন যে বর্তমান সরকার মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, সুরক্ষা ও উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। আইনমন্ত্রী বলেন, “যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্ন উঠছে, সেখানেই সরকার তড়িৎ ব্যবস্থা নিচ্ছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিষয়ে সরকারের অবস্থান একেবারে পরিষ্কার। বাংলাদেশে যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে, তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।”
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উদ্যোগে মানবাধিকার দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে আনিসুল হক এ কথা বলেন। তিনি বলেন, “মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে সরকারের অর্জন সত্ত্বেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কেউ কেউ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে নেতিবাচকভাবে চিত্রিত করার চেষ্টা করছেন।”

বাংলাদেশের সংবিধান ও সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্র, এই দুই দলিলের কোথাও অন্যের অধিকার হরণ করে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলা নেই বলে আবারও উল্লেখ করেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৭ অনুচ্ছেদ ও সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের ২০ অনুচ্ছেদে শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশ করার অধিকারের কথা বলা আছে। কিন্তু মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার এদুটি অনন্য দলিলের কোথাও বলা নেই রাস্তাঘাট বন্ধ করে, জনসাধারণের চলাচলের পথ রুদ্ধ করে সভা-সমাবেশ করা যাবে।”

আনিসুল হক বলেন, “আজকাল মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে কি-না তা জানার আগেই অনেকে আমাদেরকে মানবাধিকার সমন্ধে পাঠ দিচ্ছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর ও ২৬ সেপ্টেম্বর এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলেও, তারা মানবাধিকার রক্ষা দূরে থাক, এ বিষয়ে কোনো শব্দ করেন নাই।”

বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আরও বলেন, “মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এর অধীনে শক্তিশালী জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার। সরকারের অব্যাহত সহযোগিতায় বর্তমানে এই কমিশনের এখতিয়ার ও কাজের পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে।”

তিনি বলেন, “এটি এখন নারী, শিশু, দলিত, হিজড়া, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, মেহনতী মানুষ ও প্রবাসী শ্রমিকসহ সর্বস্তরের মানুষের অধিকার সুরক্ষায় সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে স্বল্প সময়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এশিয়া প্যাসিফিক ফোরামের সদস্য পদ লাভ করেছে এবং ‘বি’ ক্যাটাগরির স্ট্যাটাস অর্জন করেছে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষায় জবাবদিহিতার অংশ হিসেবে সরকার জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন কমিটিতে নিয়মিত রাষ্ট্রীয় প্রতিবেদন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ছায়া প্রতিবেদন প্রেরণ করছে।” আইনমন্ত্রী বলেন “মানবাধিকার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সরকার অনেক আইন প্রণয়ন করেছে। বৈষম্য বিরোধী আইন প্রণয়নের বিষয়টি এখন আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির নিকট পরীক্ষা-নিরীক্ষাধীন রয়েছে।”

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।বক্তব্য দেন, কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা।

XS
SM
MD
LG