অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

নারীরা ঐতিহ্যগত জ্ঞানের ধারক, পর্বত সম্পদের সুরক্ষাকারী: বীর বাহাদুর উশৈসিং


আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। ১১ ডিসেম্বর, ২০২২।
আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। ১১ ডিসেম্বর, ২০২২।

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, “পার্বত্য অঞ্চলের নারীরা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যগত জ্ঞানের ধারক ও বাহক। পার্বত্য অঞ্চলে পরিবেশ সুরক্ষা এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীরা মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। নারীরা হলো পর্বত সম্পদের সুরক্ষাকারী ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা সেবক।” রবিবার (১১ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন

সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, “পার্বত্য অঞ্চলের পর্যটন খাত দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।”

বীর বাহাদুর বলেন, “পাহাড়ের জুম চাষে নারীদের ভূমিকা অনেক। পাহাড়ি ঝরণা থেকে পানি সংগ্রহ করে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের পানির চাহিদা মেটায় পাহাড়ি নারীরা। পর্বতের নারীরা কৃষক, ব্যবসায়ী, কারিগর, উদ্যোক্তা ও সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে অধিষ্ঠিত হচ্ছে। পার্বত্যাঞ্চলের অর্থনীতির ভীতকে মজবুত করতে, পাহাড়ি গ্রামীণ নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

তিনি বলেন, “গ্রামীণ নারীদের সম্পদ সুরক্ষা, পরিষেবা এবং সুযোগ সুবিধাগুলোর প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে, নারীদের চলার পথকে সুগম করে দিতে হবে। তাহলেই নারীরা ক্ষুধা, অপুষ্টি ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে চালিকা শক্তিতে পরিণত হবে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা ও সময়োচিত উদ্যোগের ফলে, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তি চুক্তি সম্পাদন করা সম্ভব হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন বীর বাহাদুর। তিনি বলেন, “ঐতিহাসিক এ শান্তি চুক্তি সম্পাদনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ দুই যুগের সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসান ঘটে। এর পর থেকেই পার্বত্য অঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। যার ফলে পার্বত্য অঞ্চলে টেকসই উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।”

XS
SM
MD
LG