অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতীয় এবং চীনা সেনাদের মধ্যে গত সপ্তাহের সীমান্ত-সংঘর্ষ


ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের বুমলায় ভারত-চীন সীমান্তের ভারতের প্রান্তে একটি সাইনবোর্ড দেখা যাচ্ছে। ১১ নভেম্বর, ২০০৯। ফাইল ছবি।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের বুমলায় ভারত-চীন সীমান্তের ভারতের প্রান্তে একটি সাইনবোর্ড দেখা যাচ্ছে। ১১ নভেম্বর, ২০০৯। ফাইল ছবি।

ভারত বলেছে, তাদের সৈন্যরা গত সপ্তাহে চীনা সৈন্যদের ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা ব্যর্থ করেছে যার ফলে পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অরুণাচল প্রদেশে দেশ দুটির বিতর্কিত সীমান্তে সংঘর্ষ হয়েছে।

২০২০ সালে ভারত-চীনের হিমালয় সীমান্তের অন্য একটি অংশে একটি সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় এবং ৪ জন চীনা সৈন্য নিহত হওয়ার এবং এর ফলে এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শক্তি দুটির মধ্যকার সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর থেকে এটি সবচেয়ে গুরুতর ঘটনা।

সর্বসাম্প্রতিক সংঘর্ষের স্থানটি অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে অবস্থিত। এটি নয়াদিল্লি নিয়ন্ত্রিত কিন্তু বেইজিংও এর নিয়ন্ত্রণ দাবি করে আসছে।

২০২০ সালের জুন মাসে লাদখের পশ্চিম দিকে এশিয়ার গুরুত্বপুর্ণ এই দুই শক্তির সেনাদের মধ্যে মারাত্মক সংঘর্ষের পর থেকে ভারত এবং চীনা সীমান্তে অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

অরুণাচল প্রদেশকে বেইজিং দক্ষিণ তিব্বত বলে উল্লেখ করে। এটি অন্যতম একটি অঞ্চল যেখানে ভারত তাদের প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করেছে। ১৯৬২ সালে দুই দেশের যুদ্ধের সময় চীনা সৈন্যরা রাজ্যের ভেতরে প্রবেশ করেছিল, কিন্তু পরে তারা এটিকে ভারতের নিয়ন্ত্রণে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রাহ্মানিয়াম জয়শঙ্কর পার্লামেন্টে বলেছেন, ভারত “চীনকে খুব স্পষ্টভাবে” বলেছে, নয়াদিল্লি লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কনট্রোলকে “একতরফাভাবে” পরিবর্তন করার প্রচেষ্টা সহ্য করবে না। তার এই বক্তব্যের দুই দিন পরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বিশ্লেষকরা বলেছেন, সাম্প্রতিক সংঘর্ষ ইঙ্গিত দেয় যে, নয়াদিল্লি এবং বেইজিং-এর মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নের সম্ভাবনা কম।

XS
SM
MD
LG