অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পেরুতে বিক্ষোভকারীদের সড়ক অবরোধ,আটকা পড়েছেন হাজার হাজার পর্যটক


পেরু’র ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট পেডরো ক্যাসটিলোর সমর্থকদের মহাসড়কে রাখা আবর্জনার প্রতিবন্ধকতা সরাতে পেরু’র আরেকিপা-তে পুলিশ এসে পৌঁছাচ্ছে, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২।
পেরু’র ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট পেডরো ক্যাসটিলোর সমর্থকদের মহাসড়কে রাখা আবর্জনার প্রতিবন্ধকতা সরাতে পেরু’র আরেকিপা-তে পুলিশ এসে পৌঁছাচ্ছে, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২।

পেরুতে নির্বাচন এগিয়ে নিয়ে আসার বিষয়ে একটি প্রস্তাব দেশটির কংগ্রেস শুক্রবার নাকচ করে দিয়েছে। এদিকে, দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হলে, হাজার হাজার পর্যটক মাচু পিচু-তে যাওয়ার পথের একটি শহরে আটকা পড়েছেন।

বিক্ষোভকারীরা ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট পেডরো ক্যাসটিলোর মুক্তি, তার উত্তরসূরি ডিনা বোলুয়ার্তের পদত্যাগ, এবং নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি করছেন।

এদিকে, ২০২৬ সাল থেকে দুই বছরেরও বেশি সময় এগিয়ে এনে, ২০২৩ এর ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব কংগ্রেসের ভোটে নাকচ হয়ে য়ায়।

দেশটির একাধিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কাসকো বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক টার্মিনালও রয়েছে। এই শহর পেরু’র পর্যটনের প্রধান আকর্ষণ, ইনকা আমলের দূর্গ শহর মাচু পিচু-তে যাওয়ার প্রবেশপথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

কাসকো’র বিমানবন্দরটি পেরুর তৃতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর এবং এটা এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি পর্যটনকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।

বিক্ষোভকারীরা এই টার্মিনালে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করলে, সোমবার থেকে এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ফলে হাজার হাজার পর্যটক আটকা পড়েন।

মাচু পিচুর কাছে অবস্থিত এই শহরের মেয়র, ডারউইন বাকা এএফপি-কে বলেন, “কাসকো শহরে ৫,০০০ পর্যটক আটকা পড়েছেন। ফ্লাইটগুলো আবার চালু হওয়ার অপেক্ষায় তারা তাদের হোটেলগুলোতে অবস্থান করছেন।”

মাচু পিচু-কে সংযোগকারী রেল পরিষেবাও মঙ্গলবার থেকে বন্ধ হয়ে রয়েছে। এর ফলে ঐ ছোট শহরটিতে প্রায় ৮০০ পর্যটক আটকে আছেন। শহরটি একটি পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত, যেখানে ইনকা আমলের দূর্গটি রয়েছে।

শনিবার সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারের মাচু পিচু-তে এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। হেলিকপ্টারটি আটকে পড়া পর্যটকদের কাসকো শহরে নিয়ে যাওয়া শুরু করবে বলে শহরটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এদিকে, প্রধানত আমেরিকান ও ইউরোপীয় প্রায় ২০০ পর্যটক পায়ে হেঁটে শহরটি ছেড়ে গেছেন। তারা রেলপথ ধরে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ওলানটায়টাম্বো শহরে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। সেখান থেকে তারা হয়তো কাসকো যাওয়ার ট্রেন ধরতে পারবেন।

বাকা বলেন, “তারা যা আশঙ্কা করছেন তা হল যে, কাসকো পর্যন্ত পৌঁছানোর পর তারা তাদের দেশে ফেরত যেতে পারবেন না, কারণ পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে।”

প্রাচীন ইনকা সভ্যতার রাজধানী কাসকো’র বেশ কিছু প্রধান সড়কও বিক্ষোভকারীরা বন্ধ করে রেখেছেন। যেমন অবরোধ করে রাখা হয়েছে সারা দেশের ১০০টিরও বেশি সড়ক।


XS
SM
MD
LG