অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে নদীর জীবন-চিত্র আঁকলো শিক্ষার্থীরা


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে নদীর জীবন-চিত্র আঁকলো শিক্ষার্থীরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে নদীর জীবন-চিত্র আঁকলো শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চের প্রবেশপথে নদীর জীবন-চিত্র আঁকলো শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত ‘নদীরক্স’-কনসার্টের উদ্যোগকে সমর্থন করে এ শিল্পকর্ম উপহার দেয় তারা। বাংলাদেশের মৃতপ্রায় ও ক্ষতিগ্রস্ত নদীগুলো বাঁচাতে দেশব্যাপী জনসচেতনতামূলক ‘নদীরক্স’ কনসার্টের আয়োজন করছেন শারমিন সুলতানা সুমী। এই কনসার্টের সহযোগিতায় রয়েছে, বাংলাদেশে অবস্থিত সুইজারল্যান্ড দূতাবাস, সুইডেন দূতাবাস ও ইউএনডিপি।

প্রত্নতত্ব বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী সৌমিক বাগচী বলেন, “আমরা আসলে এমন একটা নদী আঁকতে চেয়েছি, যে নদীটা সম্পূর্ণ দেখা যাবে। তার উৎসমুখ থেকে তার মানুষের কাছে আসা পর্যন্ত, পুরো তার জীবন প্রবাহ দেখা যাবে। আমাদের আঁকা নদীটায় দেখবেন, মানুষের কাছাকাছি আসতে আসতে নীল জলের নদী কালো হয়ে যাচ্ছে; অর্থাৎ মানুষের সংস্পর্শে এসে সে তার জীবন হারাচ্ছে। যা আমাদের নদীমাতৃক বর্তমান বাংলাদেশের বাস্তবচিত্র।”

সৌমিক আরও জানান যে এ চিত্রকর্ম আঁকতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী ছাড়াও অংশ নেয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটের সদস্যরা।

কনসার্টটিতে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমাগম হয় বলে জানা গেছে। প্রায় বিশ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এ কনসার্টে দেশের নদীগুলো বাঁচাতে জনসচেতনায় গান পরিবেশন করেন-দেশের শীর্ষস্থানীয় পাঁচ ব্যান্ড চিরকুট, অ্যাশেজ, বাংলা ফাইভ, এফ মাইনর ও স্মুচেস। এ উদ্যোগে সমর্থন ব্যক্ত করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

‘নদীরক্স’ কনসার্টের উদ্যোক্তা শারমিন সুলতানা সুমী বলেন, “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন অভূতপূর্ব সাড়া পাবো তা ভাবতে পারিনি। এ আবেগ শুধু গানের জন্য ছিল না, ছিল নদীর জন্যও; এটি আমাকে অভিভূত করেছে। মুক্তমঞ্চের প্রবেশপথে তাদের আঁকা নদীটা দেখলেই আবেগ বোঝা যায়।”

শিক্ষার্থীদের মতে, শুধু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নয়, দেশের আনাচে কানাচে কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত নদীগুলোর তীরে এ কনসার্ট আয়োজিত হলে,এ উদ্যোগ সফল হবে।

XS
SM
MD
LG