সোমবার পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ সন্ত্রাসবিরোধী পুলিশ ডিটেনশন সেন্টারে হওয়া ত্বরিত জিম্মি সংকটের সমাধানের জন্য আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। সেখানে কয়েক ডজন সন্দেহভাজন জঙ্গি বন্দি একাধিক কর্মকর্তাকে জিম্মি করে রেখেছে।
বন্দিরা জিম্মিদের জীবনের বিনিময়ে তাদেরকে নিরাপদে আফগানিস্তানে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়ার দাবি করছে।
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া সীমান্ত প্রদেশের গ্যারিসন শহর বান্নুতে চলমান অবরোধে কমপক্ষে দুজন পুলিশ সদস্য নিহত এবং একজন সেনা কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
অবরোধ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নিরাপত্তা বাহিনী কারাগারগুলো পুনরায় নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করলে জিম্মিদের সাথে সংঘর্ষের সময় হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ঊর্ধ্বতন প্রাদেশিক উপদেষ্টা মুহাম্মদ আলী সাইফ একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আর কোনো বিশদ বিবরণ দেননি।
কর্তৃপক্ষ বলেছে, আটককৃতদের একটি দলকে সন্ত্রাসবাদের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ নিরাপত্তা রক্ষীদের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছিল। এরপর তারা অন্য একটি ডিটেনশন সেল থেকে অনির্দিষ্ট সংখ্যক “হাই প্রোফাইল সন্ত্রাসী”কে মুক্ত করে।
রবিবার গভীর রাতে নগর প্রশাসন বান্নু জুড়ে ইন্টারনেট এবং মোবাইল পরিষেবার সরবরাহ স্থগিত করে, কারাগারের প্রাঙ্গণে যাওয়ার রাস্তাগুলো অবরোধ করে এবং বাসিন্দাদেরকে বাড়ির ভেতরে থাকার নির্দেশ দেয়।
তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) একটি নিষিদ্ধ জঙ্গী গোষ্ঠী যা পাকিস্তানি তালিবান নামেও পরিচিত। তারা সোমবার অবরোধ করার দায় স্বীকার করেছে এবং বলেছে, তাদের যোদ্ধারা আটকদের মধ্যে রয়েছে এবং সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে তাদের যোদ্ধাদেরকে আফগান সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় স্থানান্তর করতে। সেখানে তাদের আস্তানা রয়েছে।
সূত্র জানায়, পাকিস্তানি আলোচকরা সকল দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে যার ফলে আলোচনায় অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।