জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বলেছে যে টেকসই খাদ্য নিশ্চিত করতে এবং খাদ্যের অপচয় কমাতে বাংলাদেশের শহরগুলোতে ছাদে কৃষি উদ্যোগ প্রয়োজন। ছাদে বাগান করার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার লক্ষ্যে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিয়ে বুধবার (২১ ডিসেম্বর) একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা করেছে এফএও। ঢাকা ফুড সিস্টেম (ডিএফএস) প্রকল্পের আ্ওতায় এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র আতিকুল ইসলাম। প্রকল্পের সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার জেভিয়ার বাউয়ান ভবনের ছাদে ফল ও সবজি চাষের প্রয়োজনীয়তার ওপর আলোকপাত করেন। বাউয়ান বলেন, “বাড়ির লোকেরা ছাদে কৃষি থেকে পুষ্টি ও স্বাস্থ্যের সুবিধা পেতে পারে। ছাদ কৃষি সাধারণভাবে স্থানীয় বাসিন্দা এবং সমাজের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। তারা যা খায় তার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করতে পারে। এটি একটি সংযোগ, যা দুর্বল হয়ে গেছে। খাদ্যের আউটসোর্সিং এবং শিল্প উৎপাদনের ওপর বেশি নির্ভর করছি বলে এই সংযোগটি দুর্বল হয়ে পড়েছে।”
কৃষি মন্ত্রণালয়ের এগ্রিকালচার ইনফরমেশন সার্ভিস জানিয়েছে, ঢাকা শহরে প্রায় সাড়ে চার লাখ ছাদে সাড়ে চার হাজার হেক্টর জায়গা অব্যবহৃত রয়ে গেছে। আর, ডিএনসিসি সংগ্রহ করা ড্রোন-ছবি ব্যবহার করে একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে শহরের ঐ অংশের মাত্র দুই শতাংশ ছাদে ছাদ বাগান রয়েছে।
মেয়র আতিকুল বলেন, “স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন এবং সমবায় মন্ত্রণালয়ের সহায়তায়, নগরীর বাসিন্দাদের ছাদে কৃষিতে উৎসাহ দিতে, ডিএনসিসি দশ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স রেয়াতের ঘোষণা দিতে পারে৷পরিকল্পিত এই কর রেয়াত নীতি বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশিকা প্রস্তুত করতে, ঢাকার দু’টি করপোরেশনকে সহায়তা করছে এফএও।”
নেদারল্যান্ডের অর্থায়নে নেওয়া প্রকল্পটি নগরীর ২০টি ছাদে কৃষি প্রদর্শনী প্লট তৈরি করতে এবং বস্তি এলাকার সাড়ে ৫০০ জনকে প্রশিক্ষণ দিতে একটি স্থানীয় সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ, এফএও এবং নেদারল্যান্ডের ওগেনিংজেন ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড রিসার্চ (ডব্লিউইউআর) এর প্রযুক্তিগত সহায়তায় প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।