অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চীনের অর্থায়নকৃত প্রকল্পগুলো শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক দুর্দশাকে আরও গভীর করেছে


শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটোতে চীনের পরিচালিত আন্তর্জাতিক বন্দরে শ্রীলঙ্কার একজন বন্দর কর্মী জেটিতে দাঁড়িয়ে আছেন। ১৬ আগস্ট, ২০২২। ফাইল ছবি।
শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটোতে চীনের পরিচালিত আন্তর্জাতিক বন্দরে শ্রীলঙ্কার একজন বন্দর কর্মী জেটিতে দাঁড়িয়ে আছেন। ১৬ আগস্ট, ২০২২। ফাইল ছবি।

শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য গত এক দশকে চীন শ্রীলঙ্কায় বিশাল অবকাঠামো প্রকল্পে অর্থায়ন করেছেতবে এই বছরের শুরুর দিকে ভারত মহাসাগরের ছোট্ট দেশটির অর্থনৈতিক পতনের পরে এই প্রকল্পগুলো শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে খারাপ সংকটকে ত্বরান্বিত করেছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এই বছরের শুরুর দিকে খাদ্য, জ্বালানি এবং ঔষধ আমদানির জন্য শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রা শেষ হয়ে গেলে চীনের প্রকল্পগুলোর কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

বিপর্যয়কর অর্থনৈতিক মন্দা ২ কোটি ২০ লাখ মানুষের দেশটিকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে।এক সময়ের মধ্যম আয়ের দেশটিতে মূল্যস্ফীতির কারণে জীবনযাত্রার মান কমে গেছে।বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির অনুমান, প্রায় ৬০ লাখ মানুষের খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন।

বিশ্লেষকদের মতে, চীনের কাছে শ্রীলঙ্কার ঋণ বেইজিংকে মোকাবিলা করা কঠিন করে তুলতে পারে।আগস্টে শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে চীনা নৌবাহিনীর জাহাজ ইউয়ান ওয়াং ৫কে ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তির পরে চীনের নির্মিত

হাম্বানটোটা বন্দরে ভেড়ার অনুমতি দেয়নি, কিন্তু পরবর্তীতে দেশটি জাহাজটিকে ওই বন্দরে ভেড়ার অনুমতি দেয়।

শ্রীলঙ্কা এখন তাদের ঋণ পুনর্গঠনের জন্য চীনের সাথে শিগগিরই আলোচনা করার আশা করছে। এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে ২৯০ কোটি ডলারের বেইলআউট সুরক্ষিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।ঋণ পাওয়ার জন্য কলম্বো সেপ্টেম্বরে আইএমএফের সাথে কর্মী স্তরের একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। তবে এই চুক্তি চীন, ভারত এবং জাপানসহ তাদের

ঋণদাতাদের কাছ থেকে ঋণ পুনর্গঠনের আশ্বাসের ওপর নির্ভরশীল।

XS
SM
MD
LG