বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় মেট্রো রেল চালু হবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানী ঢাকার উত্তরা (দিয়াবাড়ি) থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রো রেলের প্রথম ধাপের উদ্বোধন করবেন। বিশেষায়িত ইউনিট গঠন না হওয়া পর্যন্ত মেট্রো রেল পরিষেবার নিরাপত্তা দেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
মেট্রোরেল-এর প্রতিটি স্টেশনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট পুলিশ’ বা ‘এমআরটি পুলিশ’ নামে একটি বিশেষায়িত নতুন পুলিশ ইউনিট গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ইউনিট গঠনের আগে, ডিএমপি অন্তর্বর্তী সময়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এমআরটি পুলিশ ইউনিট গঠনের প্রক্রিয়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীনে সচিব কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদন-সহ কিছু প্রক্রিয়ার জন্য বিলম্বিত হচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি এসএম মোস্তাক আহমেদ বলেন, “বিশেষায়িত এমআরটি পুলিশ ইউনিট গঠনের খসড়া প্রস্তাব এখন সচিব কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে রয়েছে। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সচিব কমিটিতে খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কমিটির অনুমোদন পাওয়ার পর এমআরটি পুলিশ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।”
“মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ডিএমপিকে চিঠি পাঠিয়ে এমআরটি পুলিশ ইউনিট কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তার অনুরোধ জানিয়েছে। ডিএমপি বিষয়টি দেখবে;” জানান ডিআইজি মোস্তাক আহমেদ।
ডিএমপির মিডিয়া উইংয়ের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, “ডিএমপি নির্মাণ কাজ শুরুর পর থেকেই মেট্রোরেল প্রকল্পের নিরাপত্তা দিচ্ছে। যেহেতু মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই ডিএমপিকে ২৮ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু থেকে নিরাপত্তার জন্য অনুরোধ করেছে, তাই রিজার্ভ ফোর্স সহ স্থানীয় থানা নিরাপত্তা দেবে।”
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ প্রায় তিন হাজার পুলিশ সদস্যদের অনুরোধ করেছে। স্টেশনগুলোর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য থাকবে বলে জানান উপ-কমিশনার মো. ফারুক হোসেন।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে গণভবনে মেট্রোরেল সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয় উপস্থাপন কালে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পৃথক পুলিশ ইউনিট গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। পরে সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) একই মাসে এমআরটি পুলিশ গঠনের জন্য পুলিশ সদর দপ্তরে প্রস্তাব জমা দেয়।
