অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ; শেষ হলো রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন


রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন

বাংলাদেশের রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, বিরতিহীনভাবে চলে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হয় ভোট গণনা।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, “নির্বাচনে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪৫ শতাংশ ভোটার তাদের ভোট দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) কারণে ধীরগতিতে ভোটদানের কিছু অভিযোগ আমরা পেয়েছি।”

নির্বাচন কমিশন (ইসি) কন্ট্রোল রুম থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে। রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নয় জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া ৩৩টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সংরক্ষিত ১১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৬৮ জন প্রার্থী।

মেয়র প্রার্থীরা হলেন; ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল, জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের শফিউর রহমান, আওয়ামী লীগের হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেহেদী হাসান ও লতিফুর রহমান।

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে শেষ হয় নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। ভোট কেন্দ্রগুলোতে মোট ২২৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, এক হাজার ৩৪৯ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং দুই হাজার ৬৯৮ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করেন।

নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন। ইসির আইডিইএ প্রকল্পের ডিপিডি কমিউনিকেশন স্কোয়াড্রন লিডার মো. শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, ২২৯টি কেন্দ্রেই সিসি ক্যামেরা বসানো হয়।

রংপুর সিটি নির্বাচনে মোট ভোটার চার লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ এবং নারী ভোটার দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন।

XS
SM
MD
LG