অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

উন্নত রাষ্ট্র গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে সুনীল অর্থনীতি: ওআরআই-এর গবেষণা


স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সুনীল-অর্থনীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। উন্নত রাষ্ট্র গঠনের জন্য আরও ১০ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। এই ১০ ভাগ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্যে দুই ভাগ জিডিপি প্রবৃদ্ধি আসতে পারে সুনীল-অর্থনীতি থেকে। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (ওআরআই) মহাপরিচালক সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর তার গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উপস্থাপন করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “ইকো সিস্টেমের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রেখে, সমুদ্র ও সমুদ্র সম্পদকে টেকসই ব্যবহার করতে পারলে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সুনীল-অর্থনীতি বিরাট ভূমিকা রাখবে। ২০১৪-১৫ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সুনীল-অর্থনীতির অবদান ছিল ৬২০ কোটি ডলার, যা দেশের জিডিপির ৩ শতাংশ। জিডিপি প্রবৃদ্ধি যদি ১০ শতাংশ হারে হয়; তবে ২০৩৫ সালে সুনীল-অর্থনীতির অবদান ২৫৯০ কোটি ডলারে দাঁড়াবে।”

এতে আরও বলা হয়েছে যে গ্লোবাল ওশান কমিশন-এর ২০১৪ সালের প্রাক্কলন অনুযায়ী, মেরিন ও উপকূলীয় উৎপাদিত সম্পদের মোট বাজারমূল্য ৩ ট্রিলিয়ন ডলার। সুনীল অর্থনীতি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিশ্বের কর্মসংস্থানে ১০ থেকে ১২ শতাংশ অবদান রাখছে; যার ৯০ শতাংশ কর্মসংস্থান হয়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে।

২০১২ সালে মিয়ারমারে সঙ্গে ও ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির পর, বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকা ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি দাড়িঁয়েছে। এতো বড় সমুদ্র এলাকা, বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমি বা সুনীল-অর্থনীতির একটি বিশাল সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। মৎস্য সম্পদ, সামুদ্রিক জৈব সম্পদ, সামুদ্রিক নবায়নযোগ্য শক্তি, ব্লু টুরিজমসহ সুনীল অর্থনীতির সম্ভবনাময় ১১টি ক্ষেত্র রয়েছে।

বাংলাদেশের সুনীল-অর্থনীতির উন্নয়নে মেরিন অ্যাকুরিয়াম স্থাপন, প্লাস্টিক রিডিউস রিইউজ, সামুদ্রিক মৎস্যচাষ, সমুদ্রভ্রমণ পর্যটন, ডলফিন ও তিমি দর্শন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রবাল রক্ষা, সমুদ্র ভিত্তিক শিল্প স্থাপন, গবেষণার জন্য জাহাজ ক্রয়সহ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ২১০০ সালের বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনায়, সুনীল-অর্থনীতির জন্য কৌশল হিসেবে সামুদ্রিক সম্পদের বহুমাত্রিক জরিপ, উপকূলীয় জাহাজের সংখ্যা বৃদ্ধি, আধুনিকায়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি, সমুদ্র ইকোটোরিজম, সমুদ্র উপকূল ও বন্দর দূষণমুক্ত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

XS
SM
MD
LG