অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চীনে কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধি বিষয়ক তথ্যের অভাবে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ


বেইজিং’এর ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে মাস্ক পরা যাত্রীরা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। ডিসেম্বর ২৯,২০২২।
বেইজিং’এর ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে মাস্ক পরা যাত্রীরা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। ডিসেম্বর ২৯,২০২২।

চীন থেকে আগত যাত্রীদের জন্য কোভিড-১৯ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার জন্য বেশ কয়েকটি দেশ যে পদক্ষেপ নিয়েছে তার ফলে বিশ্বব্যাপী এই উদ্বেগ প্রতিফলিত হয়েছে যে কোভিডের নতুন প্রকরণ মহামারী আকারে উদ্ভূত হতে পারে এবং সরকার বাকি বিশ্বকে যথেষ্ট দ্রুত অবহিত করাতে পারেনি।

এ পর্যন্ত নতুন প্রকরণের কোনও খবর পাওয়া যায়নি তবে ২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনে এই ভাইরাসটি প্রথম ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে চীন এই ভাইরাস সম্পর্কে আগেভাগে কোন তথ্য দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান ও ইতালি চীন থেকে আসা যাত্রীদের জন্য কোভিড পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা ঘোষণা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কথা উল্লেখ করে বলেছে, দেশটিতে ভাইরাস স্ট্রেনের জিনোমিক সিকোয়েন্সিংসহ তথ্যের অভাব রয়েছে।

তাইওয়ান ও জাপানের কর্তৃপক্ষও একই ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

তাইওয়ানের মহামারী কমান্ড সেন্টারের প্রধান ওয়াং পি-শেং অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন, "এই মুহূর্তে চীনে মহামারী পরিস্থিতি স্বচ্ছ নয়,এর তথ্যের উপর আমাদের খুব সীমিত ধারণা রয়েছে এবং তা খুব সঠিক নয়”।

দ্বীপটিতে জানুয়ারীর ১ তারিখ থেকে চীন থেকে আগত প্রত্যেককে কোভিড পরীক্ষা করা হবে যা মাসের শেষের দিকে চন্দ্রমাসের হিসাবে নতুন বছরের ছুটির জন্য প্রায় ৩০ হাজার তাইওয়ানিজের প্রত্যাবর্তনের আগেই শুরু হবে। নতুন জাপানি নিয়মে শুক্রবার থেকে নির্ধারিত বিমানবন্দরগুলিতে চীনের মূল ভূখন্ড, হংকং এবং ম্যাকাও থেকে আগত বিমান ফ্লাইটগুলিকে সীমিত করার ফলে ইতোমধ্যে ছুটির সময়ের ভ্রমণের পরিকল্পনাও ব্যাহত হচ্ছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বৃহস্পতিবার উল্লেখ করেছেন যে অনেক দেশই চীন থেকে যাওয়া ভ্রমণকারীদের জন্য তাদের নীতি পরিবর্তন করেনি এবং তিনি বলেছেন, যে কোনও পদক্ষেপ নেয়া হলে তা সমস্ত দেশের মানুষের উপরে সমান ভাবে প্রয়োগ করা উচিত।

চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমান প্রাদুর্ভাবটি ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের একটি সংস্করণ যা অন্য কোথাও সনাক্ত করা হয়েছে এবং ভাইরাসটির যে কোনও সম্ভাব্য উদ্বেগজনক নতুন সংস্করণ সনাক্ত করার জন্য একটি নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। চীনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের প্রধান এপিডেমিওলজিস্ট উ জুনিউ বৃহস্পতিবার বলেছেন, চীন সব সময়ই ভাইরাসের নতুন প্রকরণ পাওয়া সাথে সাথে সময় মতো সে কথা জানিয়েছে।

তিনি বলেন, “আমরা কিছুই গোপন রাখি না।বিশ্বের সঙ্গে সব কাজই ভাগাভাগি করে নেওয়া হয়।”

XS
SM
MD
LG