ইরানের সাথে পরমাণু বিষয়ক আলোচনা পুনরায় চালু না করার ঝুঁকির বিষয়ে রাশিয়া ও ইরান উভয়েই সাম্প্রতিক সময়ে সতর্ক করেছে।
তবে উভয়েই পৃথকভাবে বলেছে যে, ইরানে সাম্প্রতিক সময়ে মানবাধিকারের পক্ষে বিক্ষোভ ও ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের পর, পশ্চিমা দেশগুলো আলোচনা পুনরায় চালু করতে বেশি আগ্রহী না বলে আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়েছে।
ভিয়েনায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা অনেকদিন ধরেই দাবি করে আসছে যে, তিনটি স্থানে সন্ধান পাওয়া অঘোষিত কৃত্রিম ইউরেনিয়ামের উপস্থিতি বিষয়ে ইরান ব্যাখ্যা প্রদান করুক কিন্তু ইরান তা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ বৃহস্পতিবার বলেন যে, ইরানের সাথে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের রাশিয়া সমর্থন করে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন যে, ইরানের সাথে একটি পরমাণু চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে, অস্ত্র প্রতিযোগিতা আরম্ভ হবে এবং সংঘাত ডেকে আনবে যার পরিণতি হবে অপরিবর্তনীয়। ।
জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামের চুক্তিটি পুনরুত্থিত করার প্রচেষ্টায় যদিও রাশিয়া ভূমিকা পালন করেছে, তবুও ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে ইরানের সাথে রাশিয়ার সম্পর্ক জোরদার হয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান, যিনি সাম্প্রতিক সময়ে ওমানে এক সফর থেকে ফিরে আসেন, তিনি বলেন যে, ইরানের সাথে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর সুযোগ সবসময় খোলা থাকবে না।
ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেছে ওমান। তবে এটি জানা যায়নি যে, ওমানের নতুন সুলতান জেসিপিওএ বিষয়ে ইরানকে কোন বার্তা দিয়েছেন কিনা।
জার্মানীর পররাষ্ট্র মন্ত্রকের এক মুখপাত্র বলেন, “আমাদের মতে, বর্তমানে ইরানের সাথে পরমাণু আলোচনা পুনরায় চালু করার কোন ইঙ্গিত বা কারণ নেই।” ক্রিস্টোফার বার্জার এর দফতর জোর দিয়ে বলে যে, জার্মানী বরং সেসকল মানুষের প্রতি বেশি মনোনিবিষ্ট, যারা ইরানের রাস্তায় নেমে এসেছেন এবং যারা বলছেন যে তারা স্বাধীনতা ও মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে চান।