পাকিস্তান বৃহস্পতিবার জানিয়েছে যে, আফগানিস্তানের অস্থির সীমান্তের কাছে “সন্ত্রাসীদের” সাথে সংঘর্ষে পাকিস্তানের অন্তত তিনজন সৈন্য নিহত হয়েছেন।
সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সীমান্তবর্তী কুররাম জেলার ঐ “প্রবল” গোলাগুলির খবর জানানো হয়। ঘটনাটিতে দুই জঙ্গিও নিহত হয়েছে। বিবৃতিটিতে বলা হয় যে, নিহত ঐ ব্যক্তিরা নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলায় “সক্রিয়ভাবে জড়িত” ছিল, কিন্তু আর বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
সেখানকার বাসিন্দা ও স্থানীয় সাংবাদিকরা বলেন যে, জঙ্গিরা আফগানিস্তানের দিক থেকে সীমান্ত পেরিয়ে এসে পাকিস্তানের একটি চৌকিতে হামলা চালালে, ভোরের আগে ঐ গোলাগুলির ঘটনা আরম্ভ হয়। ঘটনায় প্রচুর সৈন্যের হতাহতের ঘটনা ঘটে। দাবিগুলোর সত্যতা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
কেউই এখনও পর্যন্ত ঘটনার দায় স্বীকার করেনি।পাকিস্তানের এই সীমান্তবর্তী প্রদেশে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে, যেগুলোর বেশিরভাগই নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে পরিচালিত।
পাকিস্তানি তালিবান হিসেবে পরিচিত, নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালিবান (টিটিপি) সংঘটিত বেশিরভাগ সহিংসতার দায় স্বীকার করেছে।
টিটিপি-কে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে। সংগঠনটি আফগানিস্তানের শাসক তালিবানের মিত্র ও তাদের একটি পাকিস্তানি শাখা হিসেবে খ্যাত।
ইসলামাবাদ বলে আসছে যে, টিটিপি নেতৃত্ব অনেকদিন ধরেই সংঘাতে-জর্জরিত প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানে আশ্রয় নিয়েছে এবং সেখান থেকেই আন্তঃসীমান্ত হামলা পরিচালনা করছে।
পাকিস্তানের কর্মকর্তারা বলছেন যে, টিটিপি’র নেতা ও কমান্ডাররা ২০২১ সাল থেকে আফগানিস্তানের অভয়াশ্রমগুলো হতে কর্মকাণ্ডের বর্ধিত স্বাধীনতা ভোগ করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ২০২১ সালে তালিবান কাবুলে ক্ষমতা দখল করে নেয় এবং আফগানিস্তানে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সকল সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
তালিবান প্রশাসন বলে আসছে যে, তারা কোন গোষ্ঠীকেই আফগানিস্তানের মাটি থেকে পাকিস্তান সহ অন্য কোন দেশকে হুমকি দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না। পাকিস্তান ও টিটিপি আলোচকদের মধ্যে বেশ কয়েক দফায় আলোচনার মধ্যস্থতা ও আয়োজন করেছে আফগানিস্তান।