অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

২০২২ সাল ছিল বাংলাদেশের অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর বছর: বিজিএমইএ


২০২১ সালে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিভিউ’ অনুসারে, বিশ্ব বাজারে ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ শেয়ার নিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক হিসেবে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ।
২০২১ সালে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিভিউ’ অনুসারে, বিশ্ব বাজারে ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ শেয়ার নিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক হিসেবে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) বলেছে যে সদ্য শেষ হওয়া ২০২২ ছিল অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর ও পুনর্গঠনের একটি বছর। বিজিএমইএ পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, “শতাব্দীর সবচেয়ে বড় দুর্যোগ, কোভিড-১৯ দ্বারা সৃষ্ট সকল চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, আমরা আমাদের স্থিতিস্থাপকতা প্রমাণ করেছি এবং ঘুরে দাঁড়িয়েছি।”

মহিউদ্দিন রুবেল আরও বলেন, “ তবে আমরা একটি নতুন চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছি। উন্নত অর্থনীতিগুলো মন্দার দিকে যাচ্ছে, আর আমরা আমাদের অর্থনীতিকে এখনও মহামারী সঙ্কট থেকে পুরোপুরি পুনরুদ্ধার করতে পারিনি। বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক সংকটের কারণে জ্বালানি ও খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ছে এবং বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতির হার ২০২২ সালে রেকর্ড ৮ দশমিক ৮ শতাংশে পৌঁছায়; যা ২০২১ সালে ছিল ৪ দশমিক ৭ শতাংশ।”

“এসব কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের চাহিদা কমছে ও ক্রয়ক্ষমতা সংকুচিত হচ্ছে। এসব বাধা খুচরা বিক্রয় বাজার-কে প্রভাবিত করার পাশাপাশি বৈশ্বিক সরবরাহ প্রণালী-কে ব্যাহত করছে;” জানান বিজিএমইএ পরিচালক।

রুবেল বলেন, “তবে, ২০২১-২২ অর্থবছরে, আমাদের পোশাক রপ্তানি ছিলো ৪২৬১ কোটি ডলার । এটি তৈরি পোশাক (আরএমজি) উৎপাদনের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। কেননা আমরা ৪০ বছরের যাত্রায়, রপ্তানি ৪০০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছি।”

বিজিএমইএ পরিচালক রুবেল আরও বলেন, “প্রধান বাজারগুলো ছাড়াও, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্র এবং অপ্রচলিত বাজারে আমাদের রপ্তানি অংশ দ্বিগুণ হয়েছে। ২০০৯ অর্থবছরে রপ্তানি অংশ ছিল ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। সেই পরিধি থেকে ২০২২ অর্থবছরে ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে, জাপান, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ায় উল্লেখযোগ্য রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে।”

২০২১ সালে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিভিউ’ অনুসারে, বিশ্ব বাজারে ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ শেয়ার নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক হিসেবে স্থান পেয়েছে।

রুবেল বলেন, “বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য শীর্ষ ডেনিম-সোর্সিং দেশ হয়ে উঠেছে। এখন আমরা সবচেয়ে বড় পোশাক রপ্তানিকারক চীনের সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতায় রয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “২০২২ সালে আমরা ইএসজি অগ্রাধিকার ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ২০৩০-এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্নির্মাণ করেছি। আমাদের কাছে ইউএসজিবিসি দ্বারা স্বীকৃত লিড (এলইইডি) সবুজ আরএমজি কারখানার সংখ্যা সর্বাধিক। বর্তমানে, লিড গ্রিন কারখানার সংখ্যা ১৮৩, যার মধ্যে ৬০টি প্লাটিনাম।”

রুবেল বলেন, “২০২২ সালের সবচেয়ে বড় সাফল্যের মধ্যে একটি ছিল ‘মেড ইন বাংলাদেশ সপ্তাহ’। তবে, শুধুমাত্র ২০২৩ সালে এগিয়ে যাওয়া নয়, পরবর্তী দশকেও আমাদের এই রূপান্তর বজায় রাখতে হবে এবং চালিয়ে যেতে হবে। পণ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন, ফাইবার ও বাজার বৈচিত্র্য এবং মূল্য সংযোজন এই সেক্টরের জন্য সামনের দশক প্রধান সুযোগ।”

“এছাড়াও, আমাদের ব্যাকওয়ার্ড ও ফরোয়ার্ড লিংকেজ শিল্পে আমাদের সক্ষমতা বিকাশ করতে হবে। একই সঙ্গে আমাদের উদ্ভাবন, প্রযুক্তিগত আপগ্রেডেশন, ডিজাইন ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং সামগ্রিক ব্যবসায়িক সক্ষমতার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে;” বলেন বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল

XS
SM
MD
LG