অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশি শ্রমিকদের নতুন পছন্দের গন্তব্য দক্ষিণ কোরিয়া


বাংলাদেশি শ্রমিক
বাংলাদেশি শ্রমিক

পূর্ব এশিয়ার দেশ দক্ষিণ কোরিয়া এখন বাংলাদেশের শ্রমিকদের কাছে একটি জনপ্রিয় ও পছন্দের গন্তব্য। ২০২২ সালে রেকর্ড পাঁচ হাজার ৮৯১ জন বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিণ কোরিয়া গেছেন। বাংলাদেশে অবস্থিত কোরীয় মিশন সোমবার (২ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে।

বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাসের মতে, গত বছর তারা এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম (ইপিএস) প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ‘নিম্ন ও মাঝারি’ দক্ষ কর্মী নিয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে প্রায় দেড় বছর বিদেশি ইপিএস কর্মীদের নেওয়া স্থগিত করা হয়। এর পর, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার আবার কর্মী নেওয়া শুরু করে।

দক্ষিণ কোরিয়া ২০০৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ইপিএস এর মাধ্যমে ২৮ হাজার ৬৯৭ জন বাংলাদেশি কর্মী নিয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে যে এই বছর প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ থেকে ১২০ জন কর্মী নেবে দক্ষিণ কোরিয়া। বাংলাদেশে কোরীয় মিশন জানিয়েছে যে পূর্ব এশিয়ার দেশটি বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। কারণ সেখানে তারা মাসে ন্যূনতম এক হাজার ৪২০ ডলার উপার্জন করতে পারে। যা দক্ষিণ কোরিয়ার আইনি গ্যারান্টিযুক্ত ন্যূনতম মজুরি। মিশন আরও বলেছে, ওভারটাইম পেমেন্ট মিলে মাসিক বেতন দুই থেকে তিন হাজার ডলারের বেশি হতে পারে কর্মীদের

বাংলাদেশে কোরীয় মিশন আরও জানায়, “এছাড়াও, দক্ষিণ কোরিয়া বিদেশি কর্মীদের দুর্ঘটনা বীমাসহ চার ধরণের সামাজিক নিরাপত্তা বীমা গ্রহণে উৎসাহিত করে।” মিশন জানায়, ২০০৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত প্রায় ৩২০ জন কর্মী বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন, যারা প্রস্থান (দেশে ফিরে আসা) গ্যারান্টি বীমা এবং বিমান ভাড়ার বীমার টাকা না নিয়েই বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন। যা ব্যক্তিভেদে ৩০ হাজার টাকা থেকে চার লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

কোরিয়ার সরকার অবশ্য ঢাকায় ইপিএস সেন্টারের মাধ্যমে দেশে ফিরে আসা বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবস্থান ও যোগাযোগের তথ্য শনাক্ত করতে, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের অর্থ ফেরত দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে।যেসব কর্মী বীমার টাকা পাবেন তার মৃত্যু হলে, উপযুক্ত নথি উপস্থাপন করলে তার স্ত্রী, সন্তান বা বাবা-মা ঐ টাকা পেতে পারেন।

এ বছরের প্রবাসী শ্রমিকদের প্রথম ব্যাচ মঙ্গলবার রাতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি কোরীয় চার্টার্ড ফ্লাইটে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। প্রথম ব্যাচে ৯২ জন বাংলাদেশি শ্রমিকের মধ্যে ৬৯ জন নতুন এবং ২৩ জন পুনরায় সে দেশে যাচ্ছেন।

XS
SM
MD
LG