গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ডানপন্থী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো জেরুজালেমের সীমানায় একটি পবিত্র স্থান পরিদর্শন করেছেন ইসরাইলের একজন উগ্র জাতীয়তাবাদী ক্যাবিনেট মন্ত্রী। এই সফরকে ফিলিস্তিনিরা উসকানি হিসেবেই দেখছে।
এর আগে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানান, পশ্চিম তীরের অধিকৃত শহর বেথলেহেমের কাছে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর গুলিতে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর নিহত হয়েছে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের বাহিনী সৈন্যদের সঙ্গে সহিংস সংঘর্ষে জড়িত এক ব্যক্তিকে গুলি করেছে।
ইটামার বেন-গভির ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট এবং মুসলমানদের কাছে পবিত্র অভয়ারণ্য হিসাবে পরিচিত জেরুজালেমের একটি স্থানে প্রবেশ করেছিলেন। প্রচুর সংখ্যক পুলিশ বেষ্টিত অবস্থায় তার এই সফর হয়।
বেন-গভির দীর্ঘদিন ধরে পবিত্র স্থানে বেশি মাত্রায় ইহুদি প্রবেশের আহ্বান জানিয়ে আসছেন। ফিলিস্তিনিরা একে উস্কানি এবং স্থানটির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার উদ্দেশ্যে বলে মনে করে। যদিও বেশিরভাগ র্যাবাই ইহুদিদের এখানে প্রার্থনা করতে নিষেধ করে, তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কিছু ইহুদী ক্রমবর্ধমানভাবে এখানে উপাসনা সমর্থন করছে।
এই স্থানটিতে সম্প্রতি গত বছরের এপ্রিলে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী এবং ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে ঘন ঘন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিতর্কিত এই মাজারের তত্ত্বাবধায়ক জর্ডানের হাশেমাইট কিংডম, বেন-গভিরের সফরের "কঠোর" নিন্দা জানিয়েছে।
এই সপ্তাহের শুরুর দিকে বেন-গভিরের ঘটনাস্থল পরিদর্শনের ঘোষণায় , ইসলামী জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস হুমকি দেয়।
পরিদর্শনের পর টুইটারে বেন-গভির লিখেছেন, “সাইটটি সবার জন্য উন্মুক্ত এবং হামাস যদি মনে করে তাদের হুমকি আমাকে বাধা দেবে, তাহলে তাদের বোঝা উচিত যে সময় বদলে গেছে।“
হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেন, মঙ্গলবার বেন-গভিরের ঘটনাস্থলে প্রবেশ করা “আমাদের পবিত্র স্থানগুলোতে ইহুদিবাদীদের দখলদারিত্বের আগ্রাসন এবং আমাদের আরব পরিচয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ধারাবাহিকতা,“ প্রকাশ করে।
তিনি বলেন, “আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের পবিত্র স্থান ও আল-আকসা মসজিদ রক্ষা অব্যাহত রাখবে।“
দীর্ঘদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর আরবি ভাষার মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ওফির গেন্ডেলম্যান একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন, যেখানে দেখা যয় বেন-গভিরের বিদায়ের পর পবিত্র স্থানটির “পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত”।