জাতিসংঘ বলেছে, আফগানিস্তানে তাদের দূত সোমবার তালিবান শাসকদেরকে চাপ দিয়েছে যাতে সংকট-কবলিত দেশটির আরও বিচ্ছিন্নতা রোধে নারী এবং মেয়েদের কাজ এবং শিক্ষার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
আফগানিস্তানে জাতিসংঘের সহায়তা মিশনের (ইউএনএএমএ) ভারপ্রাপ্ত প্রধান মার্কাস পটজেল তালিবানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হাক্কানির সাথে কাবুলে এক বৈঠকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এই আহ্বান জানান।
বৈঠকের পর ইউনামা টুইটারে লিখেছে, “আফগান নারী ত্রাণ কর্মীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা মানবিক সংকটের আরও অবনতি ঘটাবে এবং আফগানিস্তানকে আরও বিচ্ছিন্ন করবে।”
বৈঠক-পরবর্তী বিবৃতিতে হাক্কানির কার্যালয় নিশ্চিত করেছে যে, পোটজেল মেয়েদের শিক্ষা এবং অন্যান্য বিধিনিষেধ আরোপের বিষয়ে তার উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে প্রভাবশালী তালিবান মন্ত্রী জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলকে বলেছে, “সমস্যা সমাধানের জন্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে” এবং “শরিয়া নিয়ম এবং আমাদের জনগণের সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এমন একটি যুক্তিসঙ্গত এবং স্থায়ী সমাধানের জন্য কাজ করা হচ্ছে।”
হাক্কানি এই বিষয়টি বজায় রেখেছিলেন যে, তালিবান নেতৃত্ব “জনগণের কল্যাণের জন্য চিন্তা করে এবং এর প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
তালিবান ইতোমধ্যে এনজিওর ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে এবং আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করে নারীদের ওপর আরোপিত অন্যান্য নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহার করার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলেছে, ইসলামিক আইন বা শরিয়াহ-ভিত্তিক শাসন তাদের জন্য বাধ্যতামূলক।
তালিবান নারীদেরকে জনসমক্ষে হিজাব পরতে বাধ্য করে এবং কোন পুরুষ আত্মীয়কে সঙ্গী না করে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বের বাইরে ভ্রমণে বাধা দেয়। নারীদেরকে পার্ক, ব্যায়ামাগার, গণ স্নানাগারের মতো সর্বজনীন স্থানে যেতে দেয়া হয় না।