চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে কোভিড-১৯ এর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় রোগীরা, যাদের অধিকাংশই বয়স্ক, হলওয়েতে স্ট্রেচারে শুয়ে আছেন বা হুইলচেয়ারে বসে অক্সিজেন নিচ্ছেন।
তথ্য নিতে এবং সবচেয়ে জরুরি কেসগুলির প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে নার্স এবং ডাক্তাররা ছুটোছুটি করছেন।
প্রায় তিন বছরের লকডাউনের পরে বিপর্যস্ত অর্থনীতির কারণে সৃষ্ট বিক্ষোভে, গত মাসে চীন তার গুরুতর মহামারী বিধিনিষেধগুলি পরিত্যাগ করার পরে কোভিড বৃদ্ধি পায়। ফলে, গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের হাসপাতালের যত্নের প্রয়োজন হয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বুধবার তার সদস্য দেশগুলোকে চীন থেকে আসা যাত্রীদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা আরোপের জন্য "দৃঢ়ভাবে উৎসাহিত" করেছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে ইইউ দেশগুলি পূর্বের প্রতিশ্রুতি উপেক্ষা করে চীন থেকে ভ্রমণকারীদের প্রতি বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি করেছে।
২০২০ সালের প্রথম দিকে ইউরোপের ইতালিতে ভয়াবহ মাত্রার মহামারীতে, চীন থেকে আসা যাত্রীদের পরীক্ষা জরুরী ছিল। তবে ফ্রান্স এবং স্পেন দ্রুত তাদের নিজস্ব ব্যবস্থা অনুসরণ করে। এর পরে যুক্তরাষ্ট্র চীন থেকে আসা সমস্ত যাত্রী প্রস্থানের
পূর্ববর্তী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে প্রাপ্ত একটি নেতিবাচক পরীক্ষার ফলাফলের প্রয়োজনীয়তা আরোপ করে।
চীন সতর্ক করে দিয়েছে যে, যদি এই ধরনের নীতি গুলি অঞ্চল জুড়ে প্রয়োগ করা হয় তবে "পাল্টা ব্যবস্থা" নেওয়া হবে।
তবু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসাস বুধবার বলেছেন, তিনি চীন সরকারের কাছ থেকে প্রাদুর্ভাবের তথ্যের অভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন।