অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিনের অস্বাভাবিক মৃত্যু: বুশরার জামিন আবেদনের আদেশ রবিবার


বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের অপমৃত্যুর মামলায়, তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরার জামিনের বিষয়ে, আদেশ দেওয়া হতে পারে রবিবার (৮ জানুয়ারি)। এ বিষয়ে আদেশ দেওয়ার জন্য জন্য রবিবার সময় ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখারের আদালতে বুশরার জামিনের বিষয়ে শুনানি শেষ হয়। আদালত আদেশ অপেক্ষমান রাখেন। সন্ধ্যায় জানানো হয় যে বিচারক রবিবার জামিনের বিষয়ে আদেশ দেবেন।

অভিযুক্ত পক্ষে জামিন শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মোখলেছুর রহমান বাদল ও আব্দুর রহমান হাওলাদার। তারা বলেন, “এটি একটি আলোচিত মামলা। ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করে জানিয়েছে, ফারদিন আত্মহত্যা করেছে, পোস্টমর্টেম রিপোর্টও এসেছে আত্মহত্যার বিষয়। বুশরা মেধাবী শিক্ষার্থী। বিতর্ক করার সময় তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। দুই তদন্ত সংস্থা করে দেখেছে, ঘটনা কী। বুশরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় মর্মে তদন্তে জানা গেছে।”

তারা আরও বলেন যে বুশরাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। তাদের (ফারদিন ও বুশরা) মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল, এটার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।মানবিক কারণে জামিন আবেদন করা হয়েছে

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামীম হাসান জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, যে বুশরা এজাহারভুক্ত অভিযুক্ত ব্যক্তি। মামলার তদন্ত চলছে। এ অবস্থায় তিনি জামিন পেলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। শুনানিকালে ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর, নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে গতবছরের ৭ নভেম্বর রাতে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। ৯ নভেম্বর রাতে তার বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় মামলা করেন। মামলায় ফারদিনের বান্ধবী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বুশরাসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযযোগ করা হয়।

মামলার পর ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১০ নভেম্বর তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৬ নভেম্বর রিমান্ড শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে বুশরাকে কারাগারে পাঠানো হয়, তিনি এখনও কারাগারে রয়েছেন।

XS
SM
MD
LG