অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

এফএমসি ডকইয়ার্ড-এর এমডির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট


বাংলাদেশের হাইকোর্ট। (ফাইল ছবি)
বাংলাদেশের হাইকোর্ট। (ফাইল ছবি)

বাংলাদেশ থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে, বিদেশে চলে গেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াসিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালত দুই সপ্তাহের মধ্যে বিএফআইইউ, সিআইডি ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে বিষয়টি অনুসন্ধান করতে বলেছেন।

গত ৫ জানুয়ারি ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিকে ‘দেড় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে বিদেশে ইয়াসিন’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনা হলে, বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার(৮ জানুয়ারি) স্বতঃপ্রেণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন।

অনুসন্ধানের পাশাপাশি হাইকোর্ট, এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াসিন চৌধুরীর অর্থ পাচারের অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে রুল দিয়েছেন।৯ মার্চ এ বিষয়ে আবার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

এবিষয়ে প্রকাশিত সংবাদটিতে বলা হয়,ব্যাংক ও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে বিদেশে চলে গেছেন এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইয়াসিন চৌধুরী। গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ ফেরত না দেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও তিনি দুবাইয়ে বিলাসী জীবন কাটাচ্ছেন।

প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, ইয়াসিন চৌধুরীর কাছে শুধু একটি ব্যাংকের পাওনার পরিমাণ এক হাজার ২৪৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ফান্ডেড বা নগদ ঋণ ৯১৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা এবং নন-ফান্ডেড (এলসি ও ব্যাংক গ্যারান্টি) ৩২৫ কোটি টাকা।এছাড়া এফএমসির এমডি ইয়াসিনের কাছে মোট ১১৩ কোটি ৮৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬০ টাকা পাবে দ্য বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস নামে একটি প্রতিষ্ঠান।

XS
SM
MD
LG