অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

হজে যাওয়া মানুষের সংখ্যা কোভিডের আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে


মুসলিম হজযাত্রীরা সৌদি আরবের মক্কায় বার্ষিক হজ যাত্রার সময় কাবাঘরের চারপাশে প্রদক্ষিণ করছেন। ১০ জুলাই, ২০২২। ফাইল ছবি।
মুসলিম হজযাত্রীরা সৌদি আরবের মক্কায় বার্ষিক হজ যাত্রার সময় কাবাঘরের চারপাশে প্রদক্ষিণ করছেন। ১০ জুলাই, ২০২২। ফাইল ছবি।

সৌদি আরবে এ বছর হজযাত্রীর সংখ্যা প্রাক-মহামারী পর্যায়ে ফিরে আসবে। কর্তৃপক্ষ বলছে, কোভিড বিধিনিষেধগুলো করোনা ভাইরাস সম্পর্কে উদ্বেগের কারণে এই বার্ষিক ধর্মীয় উদযাপনকে হ্রাস করা হয়েছিল।

শারীরিকভাবে সক্ষম সমস্ত মুসলিমের জন্য জীবনে একবার হলেও হজ আবশ্যক। এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম জনসমাবেশকে তুলে ধরে। মহামারীর আগে প্রতি বছর লক্ষাধিক মানুষ মক্কায় কাবাশরীফে হজে আসতো। কাবাশরীফের দিকে মুসলমানরা দিনে ৫ বার নামাজ পড়ে।

২০১৯ সালের ২৪ লাখের বেশি মানুষ হজে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু ২০২০ সালে মহামারী ছড়িয়ে পড়ার কারণে লকডাউন আরোপ করায় সৌদি আরব হজের সুযোগ ব্যাপকভাবে হ্রাস করেছিল। এতে সৌদি আরবের ১ হাজার জনের কম বাসিন্দাকে অংশ নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। ১৯১৮ সালের ফ্লু মহামারীর সময়ও এমন অভূতপূর্ব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল। এই ফ্লুতে বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছিল।

২০২১ সালে সৌদি আরবের প্রায় ৬০ হাজার বাসিন্দা অংশগ্রহণ করেছিলেন। গত বছর ১০ লাখ হজযাত্রী হজ পালন করেছে।

করোনা ভাইরাস হজকে আক্রান্ত করা প্রথম জনস্বাস্থ্য বিপর্যয় নয়। সৌদি আরবের আল সৌদ শাসক পরিবার তেলসমৃদ্ধ এই দেশটিতে হজের স্থানগুলোর তত্ত্বাবধান এবং সুরক্ষার জন্য তাদের বৈধতাকে আটকে রেখেছে। হজ করা নিশ্চিতকরণ তাদের জন্য একটি অগ্রাধিকার- এবং এছাড়াও সৌদি আরবে তেলের বাইরে কোটি কোটি ডলারের রাজস্ব নিয়ে আসা প্রধান একটি অর্থনৈতিক চালক।

XS
SM
MD
LG