অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশগুলোর সঙ্গে নতুন সহযোগিতা চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের


ফাইল: ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজের উত্তর চত্বরে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২।
ফাইল: ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজের উত্তর চত্বরে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২।

বাইডেন প্রশাসন প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের দুটি দেশের সাথে সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য নতুন চুক্তি করতে যাচ্ছে। চীনারা দ্রুত তাদের অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক এবং সামরিক প্রভাব বিস্তার করছে এমন এক সময়ে এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য চুক্তিটি গুরুত্বপূর্ণ।

এই সপ্তাহে, যুক্তরাষ্ট্র মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ এবং পালাউয়ের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা আশা করছেন, বিস্তৃত চুক্তিগুলি পরবর্তী দুই দশক ধরে ওয়াশিংটনের সাথে দ্বীপপুঞ্জের সম্পর্ক প্রশস্ত করবে। যথেষ্ট সহায়তার বিনিময়ে দ্বীপগুলিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক এবং অন্যান্য নিরাপত্তা অধিকার প্রদান করে।

প্রশাসন বিশ্বাস করে যে এই কথিত "কমপ্যাক্টস অফ ফ্রি অ্যাসোসিয়েশন" চুক্তিগুলি প্রসারিত করা আমেরিকান শক্তি ধরে রাখার প্রচেষ্টার মূল চাবিকাঠি হবে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক জুড়ে চীনা আগ্রাসনকে হ্রাস করবে।

এই সপ্তাহে স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিগুলিতে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ এবং পালাউকে ফেডারেল সরকার যে পরিমাণ অর্থ সরবরাহ করবে তা উল্লেখ করা হয়েছে। যদি তাদের চুক্তিগুলি সফলভাবে পুনরায় আলোচনা করা হয় তবেই এই সরবরাহ করা হবে। তৃতীয় কম্প্যাক্ট দেশ মাইক্রোনেশিয়ার সঙ্গেও একই ধরনের সমঝোতা স্মারক নিয়ে আলোচনা চলছে।

মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ এবং মাইক্রোনেশিয়ার সাথে বর্তমান ২০ বছরের চুক্তির মেয়াদ এই বছর শেষ হচ্ছে; পালাউয়ের সাথে বর্তমান চুক্তির মেয়াদ ২০২৪ সালে শেষ হবে। তবে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা বিশ্বাস করেন যে তিনটিই বসন্তের মাঝামাঝি থেকে শেষের দিকে নবায়ন এবং স্বাক্ষরিত হতে পারে।

মাইক্রোনেশিয়ান সংবাদ মাধ্যম মারিয়ানাস ভ্যারাইটি বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, স্বাক্ষরিত স্মারকলিপির আওতায় মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ চার বছরে ৭০ কোটি ডলার পাবে। তবে এই পরিমাণটি ২০ বছরের কম্প্যাক্ট এক্সটেনশনের মাত্র এক-পঞ্চমাংশ জুড়ে থাকবে এবং পালাউ যে পরিমাণ পাবে তা এতে অন্তর্ভুক্ত নয়।

বাইডেনের বিশেষ দূত জো ইয়ুন বলেছেন, অতীতে যুক্তরাষ্ট্র যে পরিমাণ অর্থ সরবরাহ করেছে, তার চেয়ে এই অর্থ অনেক বেশি হবে।

যদিও দ্বীপবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে, তারা যে পূর্ববর্তী চুক্তিগুলি স্বাক্ষর করেছিল তা ১৯৫০ এবং ’৬০ এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক পরীক্ষার কারণে তাদের প্রয়োজন বা দীর্ঘমেয়াদী পরিবেশগত এবং স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি পর্যাপ্তভাবে সমাধান করেনি। আইনপ্রণেতারা ২০২১ সাল থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করছিলেন, প্রশাসন এই বিষয়ে পর্যাপ্ত মনোযোগ দিচ্ছে না।

লস এঞ্জিলেসে মঙ্গলবার ইউন মার্শাল ও পালাউয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই স্মারকলিপিগুলি স্বাক্ষর করেন। তিনি বলেন এই ধরনের ক্ষতির জন্য মার্শাল দ্বীপপুঞ্জকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে এবং কি ভাবে সেই অর্থ ব্যয় করা হবে তার নিয়ন্ত্রণও দেয়া হবে।

XS
SM
MD
LG