বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে, স্বতন্ত্র তিন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন; ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন মঈন এবং ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শাহজাহান আলম সাজু।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার জিল্লুর রহমান জানান, “শনিবার(১৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের নেতৃত্বে প্রার্থীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।”
উপনির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে মো মঈন উদ্দিন বলেন, “আমরা ব্যক্তিগত কারণে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছি।”
এই তিন জনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর এই উপ-নির্বাচনে এখন পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি থেকে পদত্যাগ করা আইনজীবী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। অন্য চার প্রার্থী হলেন; জাতীয় পার্টির আবদুল হামিদ ভাসানী, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল, স্বতন্ত্রভাবে জাপার বিদ্রোহী প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা এবং স্থানীয় বিএনপি নেতা আবু আসিফ।
আবদুস সাত্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন ও দল বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ১ জানুয়ারি আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে সব পদ থেকে সরিয়ে দেয় বিএনপি।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি পাঁচটি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।আসনগুলো হলো; ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর, সরকার বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপির সাত সংসদ সদস্যের মধ্যে পাঁচজন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুনুর রশিদ এখন অস্ট্রেলিয়ায় আছেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের অসুস্থ সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া স্পিকারের কাছে ব্যক্তিগতভাবে পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারেননি। তবে, গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সকল সংসদ সদস্য ইমেইলের মাধ্যমে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান।
