অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

দুর্নীতি দমন কমিশনে নিষ্পন্ন ৪৭৩টি নথি দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট


বাংলাদেশের হাইকোর্ট। (ফাইল ছবি)
বাংলাদেশের হাইকোর্ট। (ফাইল ছবি)

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের শেষ পাঁচ মাসে, ৪০৮টি দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধানে কোনো তথ্য-প্রমাণ না থাকায়, অনুসন্ধানের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ৬৩টি মামলার তদন্ত শেষে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয়। অনুসন্ধানের পরিসমাপ্তি ঘোষিত ও চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়া মোট ৪৭৩টি নথি আদালতে দাখিল করতে দুদকের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক সুয়োমটো রুলের শুনানিকালে রবিবার (২২ জানুয়ারি) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

আদেশের পর দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, “২০২০ সালের ১০ অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের ১০ মার্চ পর্যন্ত যে ৪০৮টি অনুসন্ধানের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে, প্রতিটির বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছি। কেন অনুসন্ধান পরিসমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে তা তুলে ধরেছি। তখন আদালত এই ৪০৮টিসহ মোট ৪৭৩টি নথি দেখতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি, আমাদের কোন আপত্তি নেই। ১২ ফেব্রুয়ারি এই নথিগুলো দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আমরা নথি দাখিল করবো।”

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, “তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় দুদক ২০২০ থেকে ২০২১ সালে অনুসন্ধান পর্যায়ে ৪১০টি অভিযোগের পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছে এবং ৬৩টি মামলায় তদন্ত করে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিয়েছে। হাইকোর্ট সেই নথিগুলো দাখিল করতে বলেছেন। পত্রিকায় যে অভিযোগ এসেছে ‘দুদক অনুসন্ধান বাণিজ্য করেছেন’, সেটা জনসম্মুখে এসেছে। এই অভিযোগের একটা সুরাহা হওয়া দরকার। এজন্য হাইকোর্ট অনুসন্ধানের পরিসমাপ্তি ঘটানো এবং চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়া মোট ৪৭৩টি নথি দুদককে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে আবার শুনানি হবে।”

২০২১ সালের ১৪ মার্চ ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিকে ‘দুদকে অনুসন্ধান বাণিজ্য’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদায়ের আগে দুর্নীতির বহু রাঘব-বোয়ালকে ছেড়ে দেন দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।তাদের দায় আড়াল করতে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করেন কিছু নিরীহ ও দুর্বল ব্যক্তিকে। সব মিলিয়ে শেষ পাঁচ মাসে তিনি দুই শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি (দায়মুক্তি) দেন।

XS
SM
MD
LG