বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্র প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে ‘অবৈধভাবে স্পর্শকাতর সরকারি নথি সংগ্রহ ও ছবি তোলার’ চেষ্টার অভিযোগ তদন্তের জন্য, পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে আদেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিবের করা অনাস্থা আবেদন গ্রহণ করে, ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মুহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন। পরবর্তী শুনানির জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। জামিনে থাকা রোজিনা আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী প্রশান্ত কর্মকার।
গত বছরের ১১ অক্টোবর অভিযোগ থেকে রোজিনার অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে গোয়েন্দা পুলিশ। স্বাস্থ্য খাতে প্রতিবেদনের জন্য পরিচিত রোজিনাকে ২০২১ সালের ১৭ মে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার আগে, পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে সচিবালয়ে আটকে রাখা হয়েছিল।
মামলার নথি অনুসারে, রোজিনা ইসলাম কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কেনা সম্পর্কিত সরকারি নথির ছবি তুলেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট এবং দণ্ডবিধি’র ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায়, রোজিনার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৮ মে ঢাকার একটি আদালত রোজিনাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডের জন্য পুলিশের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে, তাকে কারাগারে পাঠায়। ঐ দিন রোজিনাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ২০২১ সালের ২৩ মে তিনি ঢাকার একটি আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান। এর পর কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
