বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন যে তার সরকার আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর সংসদ ভবন কার্যালয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন সুইজারল্যান্ডের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড। এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, “আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে, আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য লেখক এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে অবহিত করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সুইজারল্যান্ডের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বলেছেন, “নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন করে সার্চ কমিটির মাধ্যমে সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। আর, দেশের নির্বাচন তদারকি করতে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসবেন এবং তারা স্বাধীনভাবে তাদের কাজ করবেন।”
নজরুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং এর ওপর এবং এর বাজেটের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তিনি বলেন, “আগামী নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে সরকার গঠন করবে। গত ১৪ বছরে সরকার দেশের ব্যাপক পরিবর্তন করেছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগ ও তার জোটকে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিজয়ী করেছে বলে এটা সম্ভব হয়েছে।”
শেখ হাসিনা আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে এবং গণতন্ত্রের বিকাশে কাজ করে।” রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, “এখানে বসবাসরত ১০ লাখের বেশি মিয়ানমারের নাগরিক বাংলাদেশের জন্য বোঝা।”
