অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

একটি অধিকার গোষ্ঠীর গবেষণা: মিয়ানমনারের জান্তাকে সমর্থনকারী দেশ, সংস্থার নাম প্রকাশ


মিয়ানমারের নাগরিকরা ২০২১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি থাইল্যান্ডের ব্যাংককে জাতিসংঘের কার্যালয়ের সামনে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। ফাইল ছবি।
মিয়ানমারের নাগরিকরা ২০২১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি থাইল্যান্ডের ব্যাংককে জাতিসংঘের কার্যালয়ের সামনে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। ফাইল ছবি।

মিয়ানমারের শাসক জান্তা ৬০টির বেশি বিদেশী সরকার এবং জাতিসংঘের সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার সমর্থন পাচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন পর্যবেক্ষণকারী দল জাস্টিস ফর মিয়ানমারের এক সমীক্ষায় এ কথা বলা হয়েছে।

বুধবার জাস্টিস ফর মিয়ানময়ার ‘ডেভেলপিং এ ডিকটেটরশিপ’ শিরোনামে নতুন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।প্রতিবেদনে যে সকল সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো জান্তাকে রাজনৈতিক, প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে সেগুলোর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণ করে।এর ফলে অং সান সু চির গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। সারা দেশে ব্যাপক বিক্ষোভের মাধ্যমে মিয়ানমারের জনগণ সামরিক জান্তাকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জান্তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে মিয়ানমারের সরকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বৈধতা প্রদানকারীদের মধ্যে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, লাওস এবং থাইল্যান্ডের সরকার।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, “ইউনিসেফ,ইউনোচা,আইওএম, ডব্লিউএইচও এবং এফএও সহ জাতিসংঘের একাধিক সংস্থা সামরিক জান্তার প্রতি তাদের সমর্থন প্রদর্শন বা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।”

মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেননি, তবে এর মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলো জীবন রক্ষার কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রায় সময়ই নিপীড়ক শাসক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত দেশগুলোতে কাজ করে।

জাস্টিস ফর মিয়ানমারের মুখপাত্র ইয়াদানার মং ভয়েস অফ আমেরিকাকে দেয়া তার বিবৃতিতে বলেন, “আমরা অবৈধ মিয়ানমার জান্তাকে সমর্থন প্রদানকারী সরকার এবং সংস্থাগুলোর এই কর্মকান্ডের অবসান দেখতে চাই, সেই সমর্থন সভা এবং প্রশিক্ষণের আমন্ত্রণের মাধ্যমে তাদেরকে বৈধতা প্রদান বা ব্যবসার মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা প্রদান- যেভাবেই দেয়া হোক না কেন। ”

XS
SM
MD
LG