অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ঢাকায় ৫ হুজি ও ১ আল কায়েদা সদস্য গ্রেপ্তার: দাবি সিটিটিসি-এর


বাংলাদেশের ঢাকায় ‘হিজবে আবু ওমর’-এর সন্দেহভাজন সাত জঙ্গি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। (ফাইল ছবি)
বাংলাদেশের ঢাকায় ‘হিজবে আবু ওমর’-এর সন্দেহভাজন সাত জঙ্গি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। (ফাইল ছবি)

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাত-উল-জিহাদ আল-ইসলামীর (হুজি) সন্দেহভাজন পাঁচ সদস্য এবং আল কায়েদার একজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) এক প্রেস ব্রিফিং-এ কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।

ব্রিফিংয়ে আসাদুজ্জামান আরও জানান যে অভিযানের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের কাছ থেকে নয়টি মোবাইল ফোন সেট জব্দ করেছে। শুক্রবার রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন; ফখরুল ইসলাম (৫৮), সাইফুল ইসলাম (২৪), সুরুজ্জামান (৪৫), আবদুল্লাহ আল মামুন(৪৬), দীন ইসলাম(২৫) ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন(৪৬)।

ফখরুল গাজীপুর-এর তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসায় নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। তিনি ১৯৮৮ সালে পাকিস্তানে যান। সেখানে তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আল-কায়েদা কমান্ডার মুফতি জাকির হোসেনের সঙ্গে দেখা করেন। পরে ফখরুল মুফতি জাকিরের সঙ্গে বেশ কয়েকবার আফগানিস্তানে গিয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণে ফখরুল একে-৪৭, এলএমজি, রকেট লঞ্চারসহ বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার শিখেছেন জানায় পুলিশ।

এরপর, ফখরুল আল-কায়েদা নেতা মোল্লা ওমর এবং ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে দেখা করেন বলে জানান সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, “আফগানিস্তানে জিহাদি প্রশিক্ষণ শেষ করে ফখরুল পাকিস্তানের করাচিতে ফিরে আসেন। করাচি থেকে তিনি ১৯৯৫ সালে ইরানের রাজধানী তেহরানে যান এবং সেখানে প্রায় তিন বছর থাকার পর আবার করাচিতে ফিরে আসেন। ১৯৯৮ সালে ফখরুল বাংলাদেশে ফিরে আসেন।”

এছাড়া হাফেজ মো. আবদুল্লাহ আল মামুন নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য এনক্রিপ্টেড অ্যাপ ব্যবহার করে একটি সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ চালাতেন বলে জানান আসাদুজ্জামান।

মো. আসাদুজ্জামান ব্রিফিংয়ে বলেন, তিনি একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করেছেন, যেখানে তিনি অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে বোমা তৈরির ম্যানুয়াল এবং ভিডিও সহ চরমপন্থা-উস্কানিমূলক বিষয়বস্তু শেয়ার করেছেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

XS
SM
MD
LG