অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সংসদে বিইআরসি আইনের সংশোধনী পাস, জ্বালানি মূল্যের সমন্বয় ক্ষমতা সরকারের


জাতীয় সংসদ
জাতীয় সংসদ

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) বিল ২০২২ পাস হয়েছে জাতীয় সংসদে। এই আইনের দ্বারা বিশেষ ক্ষেত্রে গণশুনানি ছাড়াই সরকারকে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করার ক্ষমতা প্রদান করা হলো। রবিবার (২৯ জানুয়ারি), বিরোধী দলের বিরোধীতার মধ্যেই আইনটির সংশোধনী পাস হয় জাতীয় সংসদে।

জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাব ঠিক করার পর, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংসদে বিলটি উত্থাপন করে। এরপর কণ্ঠভোটে তা পাস হয়। বিলটি পাসের প্রতিবাদে সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেন গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান।

২০০৩ আইনের সংশোধনের ফলে, গ্যাস ও বিদ্যুতের নতুন মূল্য নির্ধারণে মন্ত্রণালয়কে আর বিইআরসি’র মাধ্যমে গণশুনানির প্রয়োজন হবে না। এর আগে, গত ২৮ নভেম্বর, কমিশনের গণশুনানি এবং সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা না করে সরকারকে বিশেষ পরিস্থিতিতে নিজস্বভাবে জ্বালানি শুল্ক নির্ধারণের ক্ষমতা দেওয়ার জন্য বিইআরসি আইন-২০০৩ -এর একটি সংশোধনী অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা।

বিলে বলা হয়েছে যে এই আইনের অন্য কোনো বিধান থাকা সত্ত্বেও, জ্বালানির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার বিশেষ ক্ষেত্রে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে, বিপণন, সরবরাহ, বিতরণ এবং ভোক্তা পর্যায়ে শুল্ক নির্ধারণ, পুনঃনির্ধারণ বা সামঞ্জস্য করতে পারে।

বিলের আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, পানির ট্যাংক ফুটতে থাকলে কখনো তা ভরাট করা যায় না। যতদিন ভাড়া বিদ্যুৎ থাকবে এবং কুইক রেন্টাল থাকবে ততদিন লোকসান বাড়তে থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, “ভর্তুকি কি? মন্ত্রী ব্যাখ্যা করবেন। ভর্তুকির নামে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এই টাকা দিয়ে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বিল পরিশোধ করা হচ্ছে।

গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির বলেন, সরকার গত ১৪ বছরে ১১ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। এ আইনকে ‘কালো আইন’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন যে বিদ্যুৎ খাতের সংকটের কারণ লুটপাট ও দুর্নীতি। তিনি বলেন, “অর্থনৈতিক মন্দার কারণে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। সামনে রমজান মাস। এর আগে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে।”

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান সংসদে বলেন, “ঢাকায় দিনের বেলা গ্যাস থাকে না। সকাল থেকে তিন-চার ঘণ্টা গ্যাস নেই। গ্রামের অবস্থা আরও খারাপ। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়েই ভালো।”

XS
SM
MD
LG