অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চট্টগ্রাম কাস্টমসে সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কর্মবিরতি, শুল্কায়ন বন্ধ


চট্টগ্রাম কাস্টমস
চট্টগ্রাম কাস্টমস

কাস্টমস বিধিমালা বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে কর্মবিরতি পালন করেছেন কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (সিঅ্যান্ডএফ) নেতারা। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল থেকে তারা কাস্টমস হাউসে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন। মঙ্গলবারও (৩১ জানুয়ারি) কর্মবিরতি চলার কথা রয়েছে।

সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানগুলো শুল্কায়ন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকায়, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম (বিলু) দুপুরে বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে সকাল থেকে আমরা কর্মবিরতি পালন করেছি। একজন ব্যবসায়ী হিসেবে কাজ করার অধিকার আছে, না করারও আছে। কাস্টমস হাউসে শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এই কর্মসূচি সারাদেশে চলছে। এর মূল কারণ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রণীত কাস্টমস এজেন্টস লাইসেন্সিং বিধিমালা।”

তিনি বলেন, “বিধিমালায় কিছু বিষয় আমাদেরকে নিপীড়নের জন্য সন্নিবেশিত করা হয়েছে। আমরা তাদের অনেক দুর্নীতি ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করি। এটা যাতে করতে না পারি, আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এগুলো করা হয়েছে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আমাদের সঙ্গে বসবেন। এখন পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলমান আছে।”

এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার ফাইজুর রহমানকে ফোন করা হলে, মিটিংয়ে আছেন জানিয়ে তার ব্যক্তিগত সহকারী ফোন রিসিভ করেন। তিনি বলেন, “কাস্টমস হাউস খোলা রয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা আন্দোলন করছে। তারা সকাল থেকে কাস্টমস হাউসের চত্বরে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছে।”

এর আগে রবিবার (২৯ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে কাস্টমস বিধিমালা বাতিলের দাবিতে ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি দেশের সকল কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনগুলোতে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি ঘোষণা করে ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।

XS
SM
MD
LG