অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

১০ লাখ মানুষের সমাবেশে পোপ;কঙ্গোবাসীর প্রতি ক্ষমা করার আহ্বান


কঙ্গোর কিনশাসায় পোপ ফ্রান্সিসের সাথে প্রার্থনায় অংশ নেওয়ার জন্য পুণ্যার্থীরা এনডোলো বিমানবন্দরে জড়ো হন। ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩।
কঙ্গোর কিনশাসায় পোপ ফ্রান্সিসের সাথে প্রার্থনায় অংশ নেওয়ার জন্য পুণ্যার্থীরা এনডোলো বিমানবন্দরে জড়ো হন। ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩।

পোপ ফ্রান্সিস কঙ্গোর জনগণের প্রতি যারা তাদের ক্ষতি করেছে তাদের ক্ষমা করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) প্রায় ১০ লাখ লোকের একটি গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করার সময় তিনি এ আহ্বান জানান। কয়েক দশকের সহিংসতায় বিধ্বস্ত আফ্রিকার এই দেশটিতে শান্তি ও সংহতি স্থাপনের উদ্দেশ্যে পোপ সেখানে গিয়েছেন।

কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসার এনডোলো বিমানবন্দরের বিশাল এয়ারফিল্ডে এই গণসমাবেশের আগের রাতে বহু কঙ্গোবাসী সেখানে রাত কাটান। তারা পোপ ফ্রান্সিসের আসার কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে নাচ–গান করে অপেক্ষায় থাকেন। ১৯৮৫ সালে দ্বিতীয় সেন্ট জন পলের সফরের পর দেশটিতে এটিই কোনো পোপের প্রথম সফর।

পোপ সেখানে পোঁছালে তাঁর বাহনের চারপাশে অনেক নারী পোপের ছবি ও ধর্মীয় প্রতীক সম্বলিত পোশাক পরে সাথে সাথে দৌড়াচ্ছিলেন।

৪৫ বছর বয়সী দুই সন্তানের মা জুলি এমবুয়ি বলেন, “পোপ দ্বিতীয় জন পল যখন এসেছিলেন তখন আমার দাদির উৎসাহ আজ আমি বুঝতে পেরেছি। তিনি তাঁকে দেখার জন্য এত উত্তেজিত ছিলেন যে আগের রাতে ঘুমাতে পারেননি”।

আর্জেন্টাইন পোপ কিনশাসায় ব্যাপকভাবে প্রচলিত চারটি জাতীয় ভাষার একটি লিঙ্গালা ভাষায় তাদের স্বাগত জানালে জনতা বিপুলভাবে উল্লসিত হয়। যীশু খ্রিষ্টের উদ্ধৃতি দিয়ে পোপের ক্ষমা করার আহ্বান তারা মনোযোগ দিয়ে শোনেন।

বিশেষ করে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে কয়েক দশকের সহিংসতার কথা উল্লেখ করে পোপ ফ্রান্সিস জোর দিয়ে বলেন, ক্ষমা করা মানে এমন নয় যে খারাপ কিছু ঘটেনি। তবে ক্ষমার কাজটি, “আমাদের হৃদয়কে ক্রোধ ও অনুশোচনা, বিরক্তি ও শত্রুতা থেকে মুক্তি দেয় এবং শান্তির পথকে প্রশস্ত করে”।

মঙ্গলবার কঙ্গোতে পৌঁছানোর পর সকালের প্রার্থনাসভা ছিল ফ্রান্সিসের প্রথম বড় অনুষ্ঠান। তাঁর উদ্বোধনী ভাষণে পোপ শতকের পর শতক ধরে বিদেশি শক্তিগুলোর আফ্রিকার খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদ লুণ্ঠনের নিন্দা জানান।

XS
SM
MD
LG