অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত যুবক গ্রেপ্তার


গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত যুবক গ্রেপ্তার। (প্রতীকী ছবি)
গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত যুবক গ্রেপ্তার। (প্রতীকী ছবি)

ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলায় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ১৪। নেত্রকোণার পূর্বধলা থানার শ্যামগঞ্জ বাজার থেকে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ১৯ বছর বয়সী মো. আমানউল্লাহ ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার খারোয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং খোরশেদ আলমের ছেলে।

ময়মনসিংহ র‌্যাব-১৪ সদর দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে ওই গৃহবধূ তাঁর বাড়ি থেকে ভালুকায় যাওয়ার জন্য পার্শ্ববর্তী উপজেলা গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান করছিলেন। এ সময় সুমন মিয়া নামের একজন ভালুকায় ওই নারীকে পৌঁছে দেবে বলে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যায় এবং কিছুক্ষণ পর সুমন আমানউল্লাহ নামের একজনকে মোবাইলে কল দিয়ে ডেকে নিয়ে আসে। সাড়ে ৬টার দিকে নান্দাইল থানাধীন খারুয়া ইউনিয়নের রাজাপুর এলাকায় সড়কের পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তারা গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এরপর রাত সাড়ে ৭টার দিকে তারা ওই নারীকে দেওয়ানগঞ্জ বাজারের কাছে কালি মন্দিরের সামনে ফেলে রেখে চলে যায়”।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ওই নারী থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পরে অভিযুক্ত সুমনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। সুমন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

মো. আনোয়ার হোসেন আরও জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আমানউল্লাহর পালিয়ে থাকার অবস্থান জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ও র‌্যাব

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‍্যাবের সাবেক সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ও পররাষ্ট্র দপ্তর পৃথকভাবে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়। এই কর্মকর্তাদের মধ্যে র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) তোফায়েল মোস্তাফা সরোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) মো. আনোয়ার লতিফ খানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর পৃথক এক ঘোষণায় বেনজীর আহমেদ এবং র‍্যাব ৭–এর সাবেক অধিনায়ক মিফতাহ উদ্দীন আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) মাদক দ্রব্যের বিরুদ্ধে সরকারের লড়াইয়ে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত। এতে বলা হয়েছে যে, তারা আইনের শাসন, মানবাধিকারের মর্যাদা ও মৌলিক স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে ক্ষুণ্ন করে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থের বিরুদ্ধে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। র‍্যাব হচ্ছে ২০০৪ সালে গঠিত একটি সম্মিলিত টাস্ক ফোর্স। তাদের কাজের মধ্যে রয়েছে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অপরাধীদের কর্মকান্ড সম্পর্কে গোপন তথ্য সংগ্রহ এবং সরকারের নির্দেশে তদন্ত পরিচালনা করা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বা এনজিওদের অভিযোগ হচ্ছে যে, র‍্যাব ও বাংলাদেশের অন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ২০০৯ সাল থেকে ৬০০ ব্যক্তির গুম হয়ে যাওয়া এবং ২০১৮ সাল থেকে বিচার বহির্ভূত হত্যা ও নির্যাতনের জন্য দায়ী। কোনো কোনো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এই সব ঘটনার শিকার হচ্ছে বিরোধী দলের সদস্য, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা।

XS
SM
MD
LG