অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

শেষ ৭৪৭ জাম্বো জেট সরবরাহ করে একটি আইকনকে বিদায় জানাল বোয়িং


যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের এভারেটে ৭৪৭ জেটের চূড়ান্ত সরবরাহ অনুষ্ঠানে অংশ নেন বোয়িংয়ের একজন কর্মচারী।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের এভারেটে ৭৪৭ জেটের চূড়ান্ত সরবরাহ অনুষ্ঠানে অংশ নেন বোয়িংয়ের একজন কর্মচারী।

যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) তাদের একটি আইকনিক বিমানকে বিদায় জানিয়েছে। তারা তাদের ৭৪৭ জাম্বো জেটের সর্বশেষ বিমানটিকে হস্তান্তর করেছে। হাজার হাজার কর্মী গত ৫৫ বছর ধরে বিমানগুলো তৈরিতে সহায়তা করেছে।

১৯৬৯ সালে প্রথমবার আকাশে ওড়ে বোয়িং। প্রায় ৫০০ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম বোয়িং ৭৪৭ কার্গো বিমান ও বাণিজ্যিক বিমান হিসেবেও ব্যবহৃত হয়েছ। নাসার মহাকাশ যানের জন্য পরিবহন বিমান হিসেবে এবং এয়ার ফোর্স ওয়ান প্রেসিডেনশিয়াল বিমান হিসেবেও এটি কাজ করেছে। বিমানটি আকাশ ভ্রমণে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। বোয়িং ৭৪৭ আন্তর্জাতিক শহরগুলোর সাথে, যেগুলোর সাথে আগে সরাসরি রুট ছিল না, সেগুলোর সংযোগ স্থাপন করেছে এবং যাত্রীবাহী বিমানকে বহুল জনপ্রিয় করতে সহায়তা করেছে।

কিন্তু গত ১৫ বছরে বোয়িং এবং এর ইউরোপীয় প্রতিদ্বন্দ্বী এয়ারবাস আরও লাভজনক এবং জ্বালানিসাশ্রয়ী বিমান চালু করেছে। এসব বিমানে শুধুমাত্র দুটি ইঞ্জিন রয়েছে। বোয়িং ৭৪৭–এ ইঞ্জিনের সংখ্যা চারটি। সর্বশেষ বিমানটি ওয়াশিংটনের পুগেট সাউন্ড অঞ্চলে বোয়িংয়ের নির্মিত ১৫৭৪তম বিমান।

প্রথম ৭৪৭ বিমান তৈরি করতে ৫০ হাজারের বেশি বোয়িং কর্মীর সময় লেগেছিল ১৬ মাসের চেয়ে কিছুটা কম সময়। এটি ছিল অত্যন্ত কঠিন একটি প্রচেষ্টা যেটিকে “দ্য ইনক্রেডিবলস” নামে অভিহিত করা হয়েছিল।

যুক্তরাষ্টের বিমান চলাচলসংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ আবুলাফিয়া বলেন, প্রথম বোয়িং ৭৪৭ প্যান অ্যামের নিউইয়র্ক-লন্ডন রুটে ১৯৭০ সালে যাত্রা শুরু করেছিল। তবে এটির সময়জ্ঞান ছিল ভয়ানক।

আবুলাফিয়া বলেন, ৭৪৭-৪০০ সিরিজের একটি উন্নত মডেল ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে আসে এবং ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে এশিয়ার অর্থনৈতিক সফলতার সাথে সঙ্গতি রেখে এটিরও সুসময় ছিল। তিনি ১৯৯১ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে হংকং পর্যন্ত ক্যাথে প্যাসিফিকের একটি বোয়িং ৭৪৭ বিমান উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।

XS
SM
MD
LG