ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করা বাংলাদেশের ৯ নারীকে দুই বছর পর দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভারতের ইমিগ্রেশন পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের বেনাপোল চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে।
ফেরত আসা নারীদের মধ্যে রয়েছেন; আঁখি খাতুন (১৬), প্রিয়া দাস (১৮), রিয়া বিশ্বাস (১৯), শান্তি দাস (১৭) মিঠু বেগম (১৯), সনিয়া আক্তার (১৮) শিরিনা আক্তার (১৭) বিথি খাতুন (১৮) ও বানু খাতুন (১৬)। এদের বাড়ি ঢাকা, নড়াইল, সাতক্ষীরা ও পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
ফিরে আসা সোনিয়া খাতুন জানান, যে ভালো কাজের আশায় আড়াই বছর আগে যশোরের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে তারা ভারতে যান। পরে ভারতের হায়দরাবাদে বাসাবাড়িতে কাজ করার সময় ভারতের পুলিশ তাদের আটক করে। আদালতে তাদের দুই বছরের কারাদণ্ড হয়। মেয়াদ শেষে সেখানকার একটি এনজিও তাদের শেল্টার হোমে রাখেন। ফিরে আসা এক নারী বলেন, “শেল্টারহোমে আমাদের বয়সী অনেক বাংলাদেশি নারী আছেন। তারা দেশে আসার অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।”
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, “ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা বাংলাদেশি নারীদের ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে এনজিও সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ছয়জনকে এবং মহিলা আইন সমিতি তিন জনকে গ্রহণ করবে।”
যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার এম এ মুহিত হোসেন বলেন, “যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ছয়জন ও মহিলা আইনজীবী সমিতি তিনজনকে তাদের নিজস্ব শেল্টারহোমে রাখবে। পরে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”
