অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

দক্ষিণ সুদান সফর শেষে পোপ ফ্রান্সিস সহিংসতার “অন্ধ রাগের” অবসান চেয়েছেন


দক্ষিণ সুদানের অধিবাসীদের স্বাগতম জানাচ্ছেন পোপ ফ্রান্সিস (৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩)
দক্ষিণ সুদানের অধিবাসীদের স্বাগতম জানাচ্ছেন পোপ ফ্রান্সিস (৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩)

রবিবার দক্ষিণ সুদানে শান্তির সফরের শেষে পোপ ফ্রান্সিস নাগরিকদের প্রতি অনুরোধ জানান নিজেদেরকে ‘ঘৃণার বিষ’ থেকে সুরক্ষিত রাখতে, যাতে তারা শান্তি ও সমৃদ্ধি পেতে পারে, যা বহু বছরের রক্তক্ষয়ী গোষ্ঠীগত সংঘাতের কারণে তাদের থেকে দূরে থেকেছে।

তিনি ৭০ হাজার মানুষের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে ‘সহিংসতার অন্ধ রাগ’ কে এড়িয়ে চলার অনুরোধ জানান।

স্বাধীনতা অর্জনের ২ বছর পর দক্ষিণ সুদানে গৃহযুদ্ধ শুরু হয় এবং এতে ৪ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। ২০১৮ সালে ২ মূল শত্রুপক্ষের মাঝে শান্তি চুক্তি সাক্ষরিত হওয়া সত্ত্বেও সংঘাত অব্যাহত থাকে। অনেক মানুষের মৃত্যু হয় এবং অনেকে বাস্তুচ্যুত হয়।

সফরের শেষ ভাগে বাড়ি ফেরার জন্য বিমানবন্দরে যাওয়ার আগে দেওয়া বিদায়ী বক্তব্যে পোপ দক্ষিণ সুদানের মানুষকে তার প্রতি স্নেহ দেখানোর জন্য ধন্যবাদ জানান।

ক্যান্টারবারির আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি, গ্লোবাল অ্যাংলিকান কমিউনিয়নের নেতা এবং চার্চ অব স্কটল্যান্ডের জেনারেল অ্যাসেম্বলির মডারেটর আয়ান গ্রিনশিল্ডসও পোপের সঙ্গে দক্ষিণ সুদান সফরে যান।

খ্রিস্টধর্মের ইতিহাসে এবারই প্রথম এই “শান্তির কাফেলার” অংশ হিসেবে ক্যাথোলিক, অ্যাংলিকান ও রিফর্মড ট্র্যাডিশনের নেতারা একত্রে বিদেশ সফরে গেলেন।

পোপ ফ্রান্সিস আবারও উপজাতিবাদ, আর্থিক দুর্নীতি ও রাজনৈতিক স্বজনপ্রীতির অবসান ঘটানোর আহ্বান জানান, যা দেশটির বেশ কিছু সমস্যার মূল কারণ।

তিনি দেশটির জনগণকে “অশুভ শক্তির কুপ্রভাব, বৈষম্যের ব্যাধি ও দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীক কার্যক্রমের আবর্জনা দূর করার জন্য মানুষে মানুষে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার” অনুরোধ করেন।

দক্ষিণ সুদান আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে সবচেয়ে বড় তেলের সঞ্চয় আছে এরকম দেশের একটি। তা সত্ত্বেও, ২০২১ সালে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির নেতারা “অস্বাভাবিক পরিমাণ অর্থ ও অন্যান্য সম্পদ” সরকারি তহবিল ও সঞ্চয় থেকে দেশের বাইরে পাচার করেছেন।

সরকার এই প্রতিবেদনকে নাকচ করেছে এবং বড় আকারে ছড়িয়ে পড়া দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

XS
SM
MD
LG