অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজারের বেশি


তুরস্কের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলের আদিয়ামান এলাকায় ধসে পড়া একটি ভবনে বেঁচে যাওয়া মানুষদের সন্ধান করছে উদ্ধারকারী দলগুলো। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
তুরস্কের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলের আদিয়ামান এলাকায় ধসে পড়া একটি ভবনে বেঁচে যাওয়া মানুষদের সন্ধান করছে উদ্ধারকারী দলগুলো। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।

তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবনগুলোর নিচে চাপা পড়া লোকজনকে উদ্ধারের জন্য উদ্ধারকর্মীরা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৃহস্পতিবারও (৯ ফেব্রুয়ারি) চেষ্টা চালান। তবে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে তাদের উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

গত সোমবার ভোরে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান গাজিয়ানটেপ শহর এবং তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের কাছে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের আশপাশের এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

বিভিন্ন এলাকার বেঁচে যাওয়া মানুষেরা যারা তাদের প্রিয়জনকে খুঁজছেন বা সরকারের কাছ থেকে সহায়তা আশা করছেন, তারা প্রেসিডেন্টের কাছে তাদের হতাশা ব্যক্ত করেন। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এ সময় জরুরি উদ্ধারকাজের ক্ষেত্রে সংকটের কথা স্বীকার করেন।

উদ্ধারকারীরা এখনো জীবিত মানুষদের খুঁজে পাচ্ছেন। এমনকি তারা সাহায্যের জন্য চিৎকারও শুনতে পাচ্ছেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং বিশেষজ্ঞের অভাবে তাদের কাছে পৌঁছানো যাচ্ছে না।

২০১১ সালে জাপানে ভূমিকম্প ও সুনামির পর এটাই এখন বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনা। জাপানের ওই ভূমিকম্পে প্রায় ২০ হাজার মানুষ মারা যান।

এরদোয়ান ভূমিকম্পে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি প্রদেশে ৭ দিনের জাতীয় শোক এবং তিন মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।

সিরিয়ায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলে আসা গৃহযুদ্ধের মধ্যে সীমান্তের দুই পাশে ঢেকে থাকা একটি অঞ্চলে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। একদিকে সিরিয়ার সরকার-নিয়ন্ত্রিত শূণ্য ফসলী অঞ্চল এবং দেশটির সর্বশেষ বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত ছিঁটমহল, যা রাশিয়া-সমর্থিত সরকারি বাহিনী কর্তৃক বেষ্টিত। এই গৃহযুদ্ধের ফলে তুরস্ক এখন লক্ষাধিক শরণার্থীর আবাসস্থল।

মার্গারেট বেশির এ প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন। এ প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেওয়া হয়েছে।

XS
SM
MD
LG