বাংলাদেশর সব ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। ১০ দফা দাবির সমর্থনে দলটি এই কর্মসূচি পালন করে। ১০ দফার অন্যতম দাবি হলো, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান।
বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণতন্ত্র মঞ্চ, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), গণফোরাম ও পিপলস পার্টি রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় একই ধরনের কর্মসূচি পালন করে। গণতন্ত্র মঞ্চ বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়েও এ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা জানিয়েছেন যে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে তৃণমূল পর্যায়ের জনগণকে সম্পৃক্ত করার অংশ হিসেবে তাদের এই কর্মসূচি শুধুমাত্র ইউনিয়ন পর্যায়ে পালন করা হচ্ছে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ের এই পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সিরাজগঞ্জে সংঘর্ষ, মোটরসাইকেল আগুন
সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায়, ইউনিয়ন পর্যায়ে চলমান পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১৯ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় ১২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। আর, তিনটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, “সকাল ১০টার দিকে পাইক পাড়িয়া বাজারে শান্তি সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি সভা চলাকালে বিএনপির মিছিল থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে।”
ওসি আরো জানান, “ এ সময় মোট ১২টি মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং তিনটিতে আগুন দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।”
কালিয়া হরিপু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. আব্দুস সবুর মন্ডল অভিযোগ করেন যে সকালে তাদের বিকালের কর্মসূচি নিয়ে প্রস্তুতি সভা করার সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা করে। অপরদিকে, ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম মনির দাবি করেন, আওয়ামী লীগের সভা থেকে তাদের মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, “আমরা শুধু ঘটনার প্রতিবাদ করেছি; কোনো ভাঙচুর করা হয়নি “
জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক লুৎফুর রহমান বলেন, সকাল ১০টার দিকে, তাদের নির্ধারিত পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পাঁচরুখীতে পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। এর পর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে এবং লাঠিচার্জ করে। এতে ১২ জন আহত হয়।