অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ডলার সংকটের প্রভাব


রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র
রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

বাগেরহাট জেলায় ১৩২০ মেগাওয়াট রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি আংশিক উৎপাদন আবারও শুরু করেছে। তবে কর্মকর্তারা এখনো ডলার সংকটের কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ প্ল্যান্টের প্রধান জ্বালানি কয়লা আমদানি আবার ব্যাহত হতে পারে।

বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নে নিয়োজিত বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) কর্মকর্তারা এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্ল্যান্ট পরিদর্শনকারী একদল জ্বালানি বিষয়ক সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে রামপাল প্লান্টের বিআইএফপিসিএলের প্রকল্প পরিচালক সুভাষ চন্দ্র পান্ডে বলেন, “প্লান্টটি চালু রাখতে হলে কয়লা আমদানির বিকল্প নেই। প্ল্যান্টে ব্যবহৃত কয়লা উচ্চমানের এবং উপমহাদেশে পাওয়া যায় না”।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, কয়লা সরবরাহের ঘাটতির কারণে ১৪ জানুয়ারি ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ইউনিট-১ প্রকল্প কর্তৃপক্ষ বন্ধ করতে বাধ্য হয়।

ডলার সংকটের কারণে কয়লা আমদানির কোনো লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খুলতে পারছে না বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।

সরকারের নীতিগত পর্যায়ে অনেক বোঝানোর পর কয়লা আমদানির জন্য এলসি খোলার অনুমতি দেওয়া হয় এবং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ৩০ হাজার মেট্রিক টনের একটি চালান পাঠায়।

বিআইএফপিসিএল কর্মকর্তারা জানান, প্ল্যান্টের জন্য কয়লা আমদানির পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই।

বিআইএফপিসিএল ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এনটিপিসি এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) যৌথভাবে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিক ও পরিচালক।

ওই কর্মকর্তা জানান, ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লার আরেকটি চালানও শিগগিরই দেশে আসছে।

কয়লার বর্তমান মজুদ থাকায় প্ল্যান্টটি চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত চলতে পারে উল্লেখ করে প্রকল্প পরিচালক সুভাষ চন্দ্র পান্ডে আরও বলেন, “ইউনিট-১ পূর্ণ ক্ষমতার সঙ্গে চালু রাখতে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন। ইউনিট-২ চলতি বছরের জুন মাসে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং সেই সময়ে প্রতিদিন প্রায় ৯ হাজার মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হবে”।

তিনি বলেন, “ইউনিট-১ এখন পরীক্ষাধীন রয়েছে। কারণ বিআইএফপিসিএলের সঙ্গে বিপিডিবির বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) রয়েছে, তারা এখনো প্ল্যান্টের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার অনুমতি দেয়নি”।

উল্লেখ্য, কয়লা ঘাটতির কারণে এক মাস বন্ধ থাকার পর গতকাল বুধবার থেকে কয়লাভিত্তিক এই প্ল্যান্টের ইউনিট-১ পুনরায় উৎপাদন শুরু করেছে। গত মাসে বন্ধ হওয়ার আগে অগাস্টে শুরু হওয়া প্ল্যান্টটি এখনো পরীক্ষামূলকভাবে চলছে।

XS
SM
MD
LG