বাংলাদেশের সুন্দরবনে বাঘ গণনার ক্যামেরা নষ্ট ও চুরির অভিযোগে ১৪ জেলে ও মাঝিকে আটক করেছে বন বিভাগ। সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) চুরির ঘটনায় সাতক্ষীরা আদালতে দায়ের করা দুটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন; জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল ওহাব, আবুল হোসেন, মো. মহিবুল্লাহ, নুরুল আলম, আব্দুর রহিম, আমজাদ হোসেন, আছাদুল ইসলাম, রিপন হোসেন, বাবর আলী, আমজাদ হোসেন (২), ইউনুস আলী, মুন্নাফ গাজী ও আকবর হোসেন। এরা সবাই সাতক্ষীরার শ্যামনগর এবং খুলনার কয়রা উপজেলার বাসিন্দা।
জানা যায়, প্রতি বছরের মতো গত ১ জানুয়ারি থেকে সুন্দরবনে বাঘ গণনার কাজ শুরু করে বন বিভাগ। বাঘ গণনার জন্য পশ্চিম সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশে ৩৭৬টি ক্যামেরা বসানো হয়। প্রথম দিকে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের নোটাবেঁকী এলাকা থেকে দুষ্কৃতিকারীরা বাঘ গণনার কাজে ব্যবহৃত ৮টি ক্যামেরা নামিয়ে নিয়ে ভাঙচুর করে এবং মেমোরি কার্ড নিয়ে চলে যায়।
সুন্দরবনের বন বিভাগের কর্মকর্তারা চুরির বিষয়টি ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বুঝতে পারেন। অনুসন্ধান করে সুন্দরবনের নোটাবেঁকী এলাকা থেকে আটটি ক্যামেরা চুরি হওয়ার বিষয়ে তারা নিশ্চিত হন। সে অনুযায়ী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে সুন্দরবনের দুইটি স্টেশন দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেয় বন বিভাগ।
অন্যদিকে, ক্যামেরা চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার রিপনের বাবা আমির হোসেন দাবি করেছেন, তার ছেলে অন্যদের সঙ্গে অভয়ারণ্যে মাছ ধরতে গিয়ে আটক হন। পরে তাকে ভিন্ন মামলায় জড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন,“যারা সুন্দরবনে বাঘ–হরিণ শিকারের সঙ্গে জড়িত, তারাই ক্যামেরা সরাতে পারে। প্রকৃত অপরাধীদের আটকে ব্যর্থ হয়ে, বন বিভাগ নিরীহ জেলেদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।”
সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, “ক্যামেরা চুরির ঘটনায় গত ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি মোট ১৪ জনকে আটক করা হয়। সাতক্ষীরার আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়েরের পর, তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”