বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন যে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর দৃশ্যমান হয়েছে। এই বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হবে ২০২৬ সালে। এ লক্ষ্যে আগামী জুলাই নাগাদ জেটি ও কন্টেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলেও জানান তিনি। রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মাতারবাড়ীতে বন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “এখানে বড় ধরনের ফিডার ভেসেল আসবে। অর্থ ও সময় বাঁচবে। যা অর্থনীতিতে সুপ্রভাব ফেলবে। এ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পটি অনুমোদনের পরে বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করা হয়। বর্তমানে ড্রইং ডিজাইনের কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।”
প্রতিমন্ত্রী জানান, গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে ৩৫০ মিটার প্রশস্ত এবং ১৬ মিটার গভীরতা সম্পন্ন ১৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এপ্রোচ চ্যানেলের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের উত্তর পাশে দুই হাজার ১৫০ মিটার দীর্ঘ ও দক্ষিণ পাশে ৬৭০ মিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার (ঢেউ নিরোধক বাঁধ) নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। বর্তমানে ৪৬০ মিটার দীর্ঘ কন্টেইনার জেটি ও ৩০০ মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস জেটি নির্মাণ এবং কন্টেইনার ইয়ার্ডসহ সকল বন্দর সুবিধাদি নির্মাণের জন্য তিনটি প্যাকেজে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এই বন্দর অর্থনীতির দ্বিতীয় লাইফ লাইন হবে বলে উল্লেখ করেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
