প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওয়ারসো সফরকালে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এক বছর ধরে ইউক্রেনের প্রতিরোধে পশ্চিমা জোটের সাহায্যকে জোরের সাথে সমর্থন করেন। তিনি অঙ্গীকার করেন যে এই সমর্থন থামবে না।
পোল্যান্ডের রয়াল ক্যাসেলের বাইরে উপস্থিত ১০ হাজারের বেশি মানুষের উদ্দেশে তিনি বলেন, "এক বছর আগে বিশ্ব কিয়েভের পতনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল। আমি মাত্রই কিয়েভ সফর করে এলাম। আমি বলতে পারি, কিয়েভ শক্ত ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। মাথা উঁচু করে। আর জরুরি হলো, স্বাধীনভাবে।"
বাইডেন অঙ্গীকার করেন যে ইউক্রেন ছাড় দেবে না, নেটো বিভক্ত হবে না, "ইউক্রেন কখনই রাশিয়ার জন্য বিজয় এনে দেবে না"।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে নাটকীয় সফরের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার পোল্যান্ড যান।
রাশিয়ার আগ্রাসনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ওয়ারসোর ঐতিহাসিক রাজকীয় প্রাসাদ থেকে একটি বহুল প্রত্যাশিত ভাষণ দেন তিনি।
পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদার সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয় বারের মতো পোল্যান্ড সফর করেন বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের এই নেতা নেটো সনদের ৫ নং অনুচ্ছেদে সম্মিলিত প্রতিরক্ষানীতির প্রতি ওয়াশিংটনের অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরেন। তিনি দুদাকে আশ্বস্ত করেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনের বাইরে তার যুদ্ধ প্রসারিত করে এবং পোল্যান্ডে আক্রমণ শুরু করে তবে জোট এর জবাব দেবে।
পোল্যান্ড তার প্রতিবেশীর অবিচল মিত্র, জেলেন্সকির সরকারকে কয়েক বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও মানবিক সহায়তা প্রদান করে। তারা ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের স্বাগত জানায় এবং কিয়েভকে সামরিক সহায়তার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ লজিস্টিক হাব সরবরাহ করে।
বার্ষিকী উপলক্ষে ওয়ারসোতে একজন আমেরিকান রাষ্ট্রপতি প্রদত্ত এই ভাষণ উল্লেখযোগ্য ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব বহন করে। পোল্যান্ডকে ওয়ারসো চুক্তির স্বাক্ষরকারী হিসাবে আয়রন কার্টেনে আটকে রাখা হয়েছিল।
১৯৫৫ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং বেশ কয়েকটি পূর্ব ইউরোপীয় দেশ পশ্চিমা সামরিক জোটের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য একটি সামরিক চুক্তি প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৯১ সালের ১ জুলাই চুক্তিটি ভেঙে দেওয়া হয়।