অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

নানা আনুষ্ঠানিকতায় পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিবস পালিত


নানা আনুষ্ঠানিকতায় পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিবস পালিত।
নানা আনুষ্ঠানিকতায় পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিবস পালিত।

বাংলাদেশের পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১৪তম বার্ষিকী পালিত হয় শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি)। ২০০৯ সালের এই ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন। নানা আনুষ্ঠানিকতায় এই হত্যাকাণ্ডে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দিবসটি উপলক্ষে বিজিবি কুরআনখানি, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে বিজিবির সকল স্থাপনায় বাহিনীর পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে এবং সকল সদস্য কালো ব্যাজ ধারণ করেছেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবির আহমেদ যথাক্রমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে রাজধানীর বনানীর সামরিক কবরস্থানে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার এডমিরাল এম আশরাফুল হক, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান এবং নিহত কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী 'বিডিআর সপ্তাহ' চলাকালে পিলখানা সদর দপ্তরে, দরবার হলে বাংলাদেশ রাইফেলস (বর্তমানে বিজিবি) এর কয়েকশ' সদস্য সশস্ত্র বিদ্রোহ করে। তারা ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে।

পরদিন তৎকালীন সরকার ও বিডিআর বিদ্রোহীদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও গ্রেনেড আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বিদ্রোহের অবসান ঘটে। এ ঘটনায় হত্যা ও লুটপাট এবং বিদ্রোহসহ মোট ৫৮টি মামলা করা হয়।

হত্যা মামলায় ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৪২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া ২৭৭ জন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

অভিযুক্তদের মধ্যে ২৬২ জনকে তিন মাস থেকে ১৯ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে এবং প্রয়াত বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর, ৫৭টি বিদ্রোহ মামলায় পাঁচ হাজার ৯২৬ জন বিডিআর সদস্যকে চার মাস থেকে সাত বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

XS
SM
MD
LG